মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজ, প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার নিজের ইচ্ছেয় বাঁচার অধিকার আছে, বলল এলাহাবাদ হাইকোর্ট
লাভ জেহাদ ইস্য়ুতে প্রবল বিতর্কের মধ্যেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করা এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজ করে জানিয়ে দিল, মেয়েটির নিজের শর্তে জীবন কাটানোর অধিকার আছে।
নয়াদিল্লি: লাভ জেহাদ ইস্য়ুতে প্রবল বিতর্কের মধ্যেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করা এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজ করে জানিয়ে দিল, মেয়েটির নিজের শর্তে জীবন কাটানোর অধিকার আছে। এই ভিনধর্মী বিয়ের বৈধতা বহাল রেখে বিচারপতি পঙ্কজ নকভি ও বিচারপতি বিবেক অগ্রবালকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, মেয়েটির হাইস্কুল সার্টিফিকেট অনুসারে সে প্রাপ্তবয়স্ক। শিখা নামে মেয়েটির নিজের খুশিমতো জীবন বেছে নেওয়ার অধিকার আছে। তিনি স্বামীর সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সেইমতো চলার অধিকার আছে তাঁর। গত ১৮ ডিসেম্বর এক হেবিয়াস কর্পাস পিটিশনের ওপর এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বেঞ্চ।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের এটাওয়া জেলার।
গত সেপ্টেম্বরে এটাওয়ার কোতোয়ালি দেহাত পুলিশ সলমন ওরফে করন নামে ওই মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬ ধারার আওতায় মামলা রুজু করে। একজন মহিলাকে প্রলোভন দেখিয়ে বা অপহরণ করে বিয়ে করতে বাধ্য করার অভিযোগ সংক্রান্ত ধারায় মামলা হয়। ৭ ডিসেম্বর এটাওয়ার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট নির্দেশ দেন, শিখাকে শিশু কল্যাণ সমিতির হাতে তুলে দিতে হবে। সমিতি শিখার ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে তার বাবা-মার কাছে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু হাইকোর্ট বলেছে, ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ও শিশু কল্যাণ সমিতির আচরণ যথাযথ আইনি বিধি পালন করা হয়নি। শিখাকে হাইকোর্টের নির্দেশে হাজির করা হয়। আদালত বলে, শিখার হাইস্কুল সার্টিফিকেট অনুসারে জন্মের তারিখ ১৯৯৯ সালের ৪ অক্টোবর, সে প্রাপ্তবয়স্ক।
উত্তরপ্রদেশে জোর করে ধর্ম বদলে বিয়ের অভিযোগ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে লাভ জেহাদ রোধে যে অর্ডিন্যান্স চালু হয়েছে, তার মধ্যেই হাইকোর্টের এহেন নির্দেশ। উত্তরপ্রদেশ সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করে জানিয়েছে, শুধুমাত্র বিয়ের জন্য ধর্মবদল চলবে না। বিয়ের আগে ধর্ম বদলাতে হলে আগাম ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাতে হবে।
যদিও এটাওয়ার মামলাটি রুজু হয়েছে নতুন আইন কার্যকর হওয়ার আগেই।