জেএনইউ-তে হামলার নিন্দা চিদম্বরমের, ‘ফ্যাসিবাদী আচরণ, দায় নিতে হবে অমিত শাহকে’
জেএনইউয়ের ঘটনা দেখার পরও কেন পুলিশ কমিশনার ক্যাম্পাসে গেলেন না?

নয়াদিল্লি: জেএনইউ-তে বর্বরোচিত হামলার দায় কার? এই দায় দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পটনায়েকের। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এই দায় অমিত শাহেরও। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এভাবেই তোপ দাগলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। দেশের অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে সবরমতী গার্লস হস্টেলে ভাঙচুরের ঘটনা এবং পড়ুয়া সহ শিক্ষিকার ওপর আক্রমণকে ‘ফ্যাসিবাদী আচরণ’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, টেলিভিশনে জেএনইউয়ের ঘটনা দেখার পরও কেন পুলিশ কমিশনার ক্যাম্পাসে গেলেন না? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের চিহ্নিত করে সর্বসমক্ষে নিয়ে আসার দাবিও তুলেছেন তিনি।
এই ঘটনা অরাজকতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কেন্দ্র সরকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, লেফটেনেন্ট জেনারেল এবং পুলিশ কমিশনারের সামনে দেশের রাজধানীতে অবস্থিত অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনাই প্রমাণ করে, চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা চলছে, মন্তব্য পি চিদম্বরমের।
This is the gravest act of impunity that we have seen in recent times. Nothing can be more shocking and shameful: Shri @PChidambaram_IN #ChhatraVirodhiBJP pic.twitter.com/m6dv7CzuXX
— Congress (@INCIndia) January 6, 2020
রবিবার জেএনইউ-তে হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন। তাঁদের মধ্যে ২২জন পড়ুয়া। এদের মধ্যে রয়েছেন জেএনইউ-এর সভানেত্রী ঐশী ঘোষও। তাঁর মাথা ফেটেছে, সেলাই পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন শিক্ষিকা সহ নিরাপত্তরক্ষীরাও। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হামলা চালিয়েছে এবিভিপি-র সদস্যরাই। এসএফআই সহ বাম ছাত্রসংগঠনও আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠনের ওপর আঙুল তুলেছে।
আরও পড়ুন- হীরক রাজত্বে পাঠশালায় আক্রমণ’, জেএনইউ হামলার তীব্র নিন্দায় পরমব্রত, সরব অনুপম, মিমি, নুসরতও
প্রশ্ন উঠছে, এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পরও কেন কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে থাকা দিল্লি পুলিশ? এই প্রসঙ্গে ২০১৬ সালে জেএনইউ ক্যাম্পাসে ‘ভারত বিরোধী’ স্লোগান ওঠার কথা টেনে আনেন অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যে ছাত্ররা ভারত বিরোধী স্লোগান দিয়েছেন তাঁরা কেনও এখনও গারদের বাইরে? অরবিন্দ কেজরীবাল পুলিশকে তাঁদের গ্রেফতারের অনুমতি দেননি”। প্রসঙ্গত, জেএনইউ-এর ঘটনায় দিল্লি পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে এই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে।






















