রুটি, আলু-পালং শাকের তরকারি খেয়ে জেলের প্রথম রাত কাটালেন লালুপ্রসাদ, দেখতে পাবেন টিভি
নয়াদিল্লি: জেলের প্রথম রাত রুটি ও আলু-পালং শাকের তরকারি খেয়ে কাটালেন লালুপ্রসাদ যাদব।
শনিবারই, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় আরজেডি প্রধান সহ ১৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ সিবিআই আদালত। বিচারকের রায় ঘোষণার পরই, লালুপ্রসাদকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রাঁচির বিরসা মুন্ডা জেলে।
জেলে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আপার ডিভিসন সেলের কটেজে রাখা হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কটেজেই ছিলেন তিনি। পাশাপাশি, এক সময় এই সেলে সাড়ে তিন বছর ছিলেন ঝাড়খণ্ডের আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়া।
জেলে লালুপ্রসাদের সঙ্গে প্রথম দেখা করেন তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র তেজস্বী যাদব। গতকাল জেল নিয়ে যাওয়ার পর বাবার বয়স ও অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে দেখা করার অনুমতি চান তেজস্বী। এক ঘণ্টা দু’জনকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
রাতে, জেলের মধ্যেই মেডিক্যাল পরীক্ষা হয় লালুর। এরপর, লালু নিজের কটেজে ফিরে যান। সেখানে রাতে তিনি হাল্কা খাবার চেয়ে নেন। সেই অনুযায়ী, আলু-পালং শাকের তরকারি এবং রুটি খেতে দেওয়া হয়েছিল আরজেডি প্রধানকে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে হার্ট সার্জারি হয়েছিল আরজেডি সুপ্রিমোর।
এদিকে, জেল সূত্রে খবর, লালুপ্রসাদের ঘরে টিভি সংযোগও থাকবে। পাশাপাশি, প্রতিদিন তাঁর জন্য বরাদ্দ হবে একটি সংবাদপত্রও। জেলের সুপার অশোক কুমার চৌধুরি জানান, জেলের ম্যানুয়াল অনুযায়ী, প্রতি কাজের দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অতিথিদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন লালুপ্রসাদ।
লালুপ্রসাদ সহ বাকি দোষী সাব্যস্তদের সাজা ঘোষণা হবে আগামী ৩ জানুয়ারি।