রাজ্যসভার উপনির্বাচনে রাজস্থান থেকে প্রার্থী মনমোহন, মঙ্গলবার মনোনয়ন পেশ
রাজ্যসভার উপনির্বাচনে রাজস্থান থেকে প্রার্থী হচ্ছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংহ।
জয়পুর: অসম নয়, এবার রাজ্যসভার উপনির্বাচনে রাজস্থান থেকে প্রার্থী হচ্ছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংহ। মঙ্গলবারই মনোনয়ন পেশ করবেন তিনি। রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট জানিয়েছেন, “দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই রাজ্য থেকেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে মনোনিত করা হবে। মঙ্গলবার তিনি মনোনয়নপত্র পেশ করবেন।”
প্রসঙ্গত, অসম থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ওই রাজ্য থেকে ডঃ সিংহকে পুনর্বার মনোনীত করে আনা কংগ্রেসের পক্ষে সম্ভব ছিল না। যার ফলে চলতি বছরের ১৪ জুন মনমোহন সিংহের সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কংগ্রেস তাঁকে অন্য রাজ্য থেকে রাজ্যসভায় নিয়ে আসার চেষ্টা করে। তামিললাড়ু থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে মনোনীত করার জন্য ডিএমকে-র কাছে দরবারও করে তারা। কিন্তু স্তালিনের পার্টি সম্মত না হওয়ায় কংগ্রেসের চেষ্টা বিফলে যায়। তবে রাজস্থান থেকে রাজ্যসভার সাসংদ মদনলাল সাইনির আকস্মিক মৃত্যুতে ডঃ মনমোহন সিংহের পুনর্বার রাজ্যসভায় যাওয়ার রাস্তা খুলে যায়।
গত জুনে বিজেপি সাংসদ মদনলালের মৃত্যুর কারণে ওই আসনটি ফাঁকা হয়। ইতিমধ্যেই রাজস্থানে ১০০ আসন পেয়ে ক্ষমতা দখল করেন সচিন পাইলটরা। ‘বসুন্ধরার রাজ্যে’ কংগ্রেস সমর্থন পায় বহুজন সমাজ পার্টি (৬), ভারতীয় আদিবাসী পার্টি (২), সিপিএম (২), রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি-র (২) মতো একাধিক দলের। এছাড়াও, ১৩ জন নির্দলের মধ্যে ১২ জন বিধায়কই কংগ্রেসকে সমর্থন করছে। যার ফলে ওই শুন্যপদে কংগ্রেসের জয় ঠেকানো কার্যত অসম্ভব। আর এমন সুযোগ হাতছাড়া না করে রাজস্থান থেকে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ডঃ সিংহকেই মনোনীত করছে তারা।
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভায় একটানা ৫ বার সাংসদ থেকেছেন তিনি। ২০০৪ থেকে ২০১৪, পরপর ২ বার প্রধানমন্ত্রীও হয়েছেন মনমোহন সিংহ। এবার ষষ্ঠবারের জন্য সংসদের উচ্চকক্ষে সাংসদ হিসেবে মনোনীত হতে চলেছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৬ অগস্ট ওই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন ১৪ অগস্ট। ১৬ অগস্ট হবে স্ক্রুটিনি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা ১৯ তারিখ পর্যন্ত। নির্বাচনের দিনই বিকেল ৫টায় ফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।