২০৩০ সালের মধ্যেই মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরি করতেই পারে ভারত: প্রাক্তন ইসরো প্রধান
ইসরোর গগণযান প্রসঙ্গে নায়ার জানান, তিনি আশাবাদী ২০২২ সাল নাগাদ মহাকাশে নভশ্চর পাঠাতে সক্ষম হবে ভারত। সেই সাফল্য এলে, পরের ধাপ হবে মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরি করা।
হায়দরাবাদ: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (ইসরো)-র প্রস্তাবিত স্পেস স্টেশন প্রকল্পের ভাবনার ভূয়সী প্রশংসা করলেন সংস্থার প্রাক্তন প্রধান জি মাধবন নায়ার। তাঁর মতে, এর ফলে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারতের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা প্রতিষ্ঠা পাবে। ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানান, ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশনের পরিকল্পনা শুনে তিনি উচ্ছ্বসিত। ইসরোর 'গগনযান' প্রসঙ্গে নায়ার জানান, তিনি আশাবাদী ২০২২ সাল নাগাদ মহাকাশে নভশ্চর পাঠাতে সক্ষম হবে ভারত। সেই সাফল্য এলে, পরের ধাপ হবে মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরি করা। নায়ার বলেন, সাধারণতভাবে এই ধরনের প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে প্রথমে কল্পনা বা ভাবনা তৈরি করা এবং সেখান থেকে ধীরে ধীরে ডিজাইন করা এবং তা বাস্তবায়িত করা-- এসব কিছুতে সময় লাগে। ফলে, সরকার যদি এই প্রকল্পের জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়ে থাকে, তাহলে, তা উচ্ছ্বসিত হওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার ইসরোর বর্তমান চেয়ারম্যান কে শিবণ ঘোষণা করেন, ভারতের প্রস্তাবিত স্পেস স্টেশনের ওজন হবে আনুমানিক ২০ টন। প্রসঙ্গত, স্পেস স্টেশন হল মহাকাশে থাকা ভাসমান মহাকাশযান। অন্য মহাকাশযানের তুলনায় অনেকটাই বড়। সেখানে মহাকাশচারীদের থাকা ও বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজ করার জায়গা থাকে। এছাড়া, অন্য মহাকাশযান যাতে তার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, সেই সংস্থানও থাকে। বর্তমানে পৃথিবী থেকে কম দূরত্বে নির্দিষ্ট কক্ষপথে(লোয়ার অর্বিট) রয়েছে একমাত্র কার্যকরী স্পেস স্টেশন -- ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)। বিভিন্ন ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা, মার্কিন মহাকাশ সংস্থা (নাসা), জাপানের মহাকাশ সংস্থা (জাসা) ও রুশ মহাকাশ সংস্থা (রসকসমস) -- মিলে এটি যৌথ উদ্যোগে তৈরি করেছে। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক যৌথ-প্রকল্প। নায়ার জানান, তাঁর আশা, ২০২৫-২০৩০ সাল নাগাদ বাস্তবায়িত হবে ভারতের স্পেস স্টেশনের পরিকল্পনা। তাঁর মতে, আইএসএস-এর মতো বড় স্পেস স্টেশনের কোনও প্রয়োজন নেই ভারতের। তবে, ২০টনের একটি স্টেশন তৈরি করতেই পারে ইসরো। ভারতের জিএসএলভি মার্ক-৩ রকেট একবারে ১০টন মডিউল বহন করতে পারে। আগামী ১০ বছরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে সেমি-ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন তৈরি করতে পারে ভারত। যার ফলে, ভারতের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।