এক্সপ্লোর
Advertisement
ভারতীয় গোয়েন্দাদের নতুন চিন্তা জঙ্গিদের 'ক্যালকুলেটর' অ্যাপ
নয়াদিল্লি: ক্যালকুলেটর। এই শব্দবন্ধই এখন চিন্তায় ফেলেছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের। সূত্রের খবর, ক্যালকুলেটর অ্যাপের সাহায্যেই সেনা-রাডারকে ফাঁকি দিয়ে অনুপ্রবেশ করছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ধৃত জঙ্গিদের জেরায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের এখন নয়া হাতিয়ার ‘ক্যালকুলেটর’ নামক এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন! জম্মু-কাশ্মীরে অবাধ অনুপ্রবেশ ঘটাতে যার যথেচ্ছ ব্যবহার করছে সন্ত্রাসবাদীরা! আর গোটাটাই হচ্ছে সেনার-চোখকে ফাঁকি দিয়ে!
মোবাইলের ওপর নজরদারির কাজ করে সেনাবাহিনীর ‘সিগন্যাল ইউনিট’। সূত্রের খবর, এদের কাজ হল কোনও বিশেষ মোবাইল নম্বরের ওপরে নজর রাখা। সীমান্তের কোনও টাওয়ারে, কোন নতুন নম্বর ধরা পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে, তার ওপর নজরদারি চালাতে শুরু করে সেনার সিগন্যাল ইউনিট।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এই চেষ্টা অনেক ক্ষেত্রেই সফল হচ্ছে না! সীমান্ত পার করে এমন কিছু জঙ্গি ভারতে ঢুকে পড়ছে যাদের মোবাইল কোনওভাবেই ট্র্যাক করা যাচ্ছে না! আর এখানেই জঙ্গিদের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছে ক্যালকুলেটর অ্যাপ!
সূত্রের খবর, সেনার নজরদারি এড়াতে জম্মু-কাশ্মীরে এই ‘ক্যালকুলেটর’ অ্যাপ ব্যবহার করছে জঙ্গিরা! অনুপ্রবেশের পর এই বিশেষ অ্যাপকে কাজে লাগিয়েই পাকিস্তানে বসে থাকা হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জঙ্গিরা!
পাক-জঙ্গিদের এই অ্যাপ্লিকেশন নিয়েই এখন গোয়েন্দাদের কপালে বড়সড় চিন্তার ভাঁজ! সূত্রের খবর, এই বিশেষ অ্যাপ কোনও স্মার্টফোনে থাকলে সেনাবাহিনীর সিগন্যাল ইউনিট ওই মোবাইল নম্বরটিকে লোকেট করতে পারে না।
ফলে নির্বিঘ্নেই সীমান্তের ওপার থেকে নির্দেশ এসে পৌঁছয় অনুপ্রবেশকারী জঙ্গির মোবাইলে। সেইমতোই তৈরি হয় নাশকতার ব্লু-প্রিন্ট! অথচ, গোটাটাই থেকে যায় নজরদারির বাইরে!
সূত্রের খবর, ধৃত কয়েকজন লস্কর জঙ্গির কাছ থেকে সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনী এই বিশেষ অ্যাপের অস্তিত্বের কথা জানতে পেরেছে। এই ক্যালকুলেটর অ্যাপের সবচেয়ে বড় সুবিধা, এতে কোনও তথ্য স্টোর করে রাখা থাকে না। ফলে জঙ্গির স্মার্টফোন উদ্ধার হলেও তা থেকে কোনও তথ্যই বের করা সম্ভব হয় না।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি কাশ্মীরের সেনা গোয়েন্দারা লক্ষ্য করেছেন, জঙ্গিদের কাছে থাকা মোবাইলে কোনও মেসেজ থাকছে না! গোয়েন্দারা আরও জানতে পেরেছেন, এই ক্যালকুলেটর অ্যাপ অফলাইনেও কাজ করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ‘কগনিটিভ ডিজিটাল রেডিও প্রযুক্তি’ ব্যবহার করে অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে।
জঙ্গিদের এই প্রযুক্তিকে ‘ক্র্যাক’ করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ‘ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন’ ও গোয়েন্দা কর্তাদের কাছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ক্যাটরিনা’র সময়ে দূর-দূরান্তে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে একটি মার্কিন সংস্থা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল। সেই প্রযুক্তি এবার প্রয়োগ করা হচ্ছে নাশকতায়!
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
ক্রিকেট
ব্যবসা-বাণিজ্যের
জেলার
Advertisement