১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানী অঞ্চলে বাজি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা সুপ্রিম কোর্টের
নয়াদিল্লি: দীপাবলির আগে দিল্লি-সহ ন্যাশনাল ক্যাপিটল রিজিয়নে আতসবাজি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এ কে সিকরির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। প্রসঙ্গত আতসবাজি বিক্রির উপর গত বছরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। এবছরও ১ নভেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
গতমাসেই অন্তর্বর্তী রায়ে আতসবাজি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা সাময়িক স্থগিত করেছিল শীর্ষ আদালত। এদিন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, আগামী ১ নভেম্বর থেকে ফের আতসবাজি বিক্রি করা যাবে। বাজি বিক্রি করার জন্য যাদের সাময়িক লাইসেন্স বিলি করার ওপর গত ১২ তারিখ যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল শীর্ষ আদালত, এদিন থেকে তাও কার্যকর হল।
এদিন রায় দিতে গিয়ে গতবছর বাজি বিক্রির ফলে রাজধানী অঞ্চলের বাতাসের যে বিপুল ক্ষতি হয়েছিল, তা উল্লেখ করে বেঞ্চ। আদালত জানায়, আতসবাজির ফলে দিল্লির হাওয়ার গুণমান অত্যন্ত খারাপ হয়েছিল। শহরের স্বাভাবিক বাতাস কার্যত রুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। হাওয়া-দূষণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে, সবদিক বিবেচনা করে এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
এদিকে এই রায়কে ঘিরে বিভিন্ন মহলে ভিন্ন সুর ধরা পড়েছে। একদিকে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। তারা জানিয়েছে, এমনিতেই দিল্লির বাতাস দূষিত। কারণ, খড় জ্বালানো হয়, আবার কুয়াশা পড়তে শুরু করে। আতসবাজির ধোঁয়া সমস্যাকে আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে তোলে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে, তা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দাবি, বাজিতে মজুত বিভিন্ন রাসায়নিক ও ধাতুর ফলে বাতাসে বিষাক্ত ও কার্সিনোজেনিক (ক্যান্সার-মদতকারী) যৌগ যুক্ত হয়। এতে, বিশেষ করে শিশু ও গর্ভস্থ সন্তানদের সমস্যা বৃদ্ধি হতে পারে।
অন্যদিকে, শীর্ষ আদালতের রায়ে মাথায় হাত বাজি বিক্রেতাদের। তাঁদের দাবি, আদালতের রায়ের ফলে এবছরের দীপাবলির আনন্দ ধোঁয়া হয়ে গেল। তাঁদের আরও অভিযোগ, ২০ দিন আগে নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ায় অনেক বাজি ব্যবসায়ী বিক্রি করার জন্য স্টক মজুত করেছিল। এখন এদিনের রায়ের ফলে, সব টাকা জলে গেল। সংগঠনের দাবি, প্রচুর লোকসানের মুখে দাঁড়িয়ে পড়লেন ব্যবসায়ীরা।