জেলে লালুপ্রসাদের ‘সেবায়’ তাঁর ২ ব্যক্তিগত সহায়কের থাকা নিয়ে বিতর্ক
পটনা ও রাঁচি: পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া জেলবন্দি লালুপ্রসাদ যাদবের ‘সেবায়’ ২ ‘ব্যক্তিগত সহায়কের’ উপস্থিতির অভিযোগ নিয়ে তীব্র শোরগোল বিহার রাজনীতিতে।
সম্প্রতি, সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় যে, লক্ষ্মণ মাহাতো এবং মদন যাদব নামে লালুপ্রসাদের ২ ব্যক্তিগত সহায়ক জেলে আরজেডি সুপ্রিমোকে সেবা করছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাহাতো এবং মদন ছোট অপরাধের জন্য বিরসা মুন্ডা জেলে বন্দি, যেখানে রয়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও।
অভিযোগ, এই দুজন জেলে লালুপ্রসাদের সহায়ক ও রাঁধুনী হিসেবে কাজ করছে। যদিও, এই নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি জেল কর্তৃপক্ষ। লালুপ্রসাদও এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
এদিকে, এই খবরকে হাতিয়ার করে আরজেডিকে তুলোধনা করেছে রাজ্যের শাসক দল জেডিইউ। দলের মুখপাত্র নীরজ কুমার জানান, এর থেকেই স্পষ্ট, লালুপ্রসাদ কতটা সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তি।
নীরজ যোগ করেন, নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থরক্ষায় দলীয় কর্মীদের ব্যবহার করতেও পিছপা হন না। তাঁর দাবি, লালু স্রেফ নিজের ও পরিবারের ভালোর কথাই ভাবে। সামাজিক ন্যায়ের প্রতি তাঁর এই দায়বদ্ধতা কেবলমাত্র লোক-দেখানো।
যদিও, শাসক শিবিরের সব অভিযোগ খারিজ করেছে আরজেডি। দলের মুখপাত্র শক্তি সিংহ যাদবের পাল্টা দাবি, জেলে ওই দুজনের উপস্থিতি একান্তই কাকতালীয়। ওদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। তাই ওরা জেলে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। কারণ, অভিযোগকারীরা কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি।