WHO Advisory on Omicron: ওমিক্রনকে হালকাভাবে নিলে বিপদ, সতর্কবার্তা হু-র কোভিড বিভাগের
সতর্কবার্তা, ‘বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা আশ্চর্যজনকভাবে বাড়ছে, এবার হাসপাতালে রোগী উপচে পড়বে, সাবধান থাকুন।'
লন্ডন : বিশ্বজুড়ে চলছে ওমিক্রন (Omicron) সংক্রমণের বিস্ফোরণ। এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্নের (Variant Of Concern) হাত ধরে করোনার (Corona) সুনামি আছড়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। বিভিন্ন দেশে রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। তবে সংক্রমিতের সংখ্যা যতটা, সেই পরিমাণে হাসপাতালে (Hospitalization) ভর্তি হওয়ার সংখ্যাটা অনেকটাই কম বলছে বিভিন্ন দেশের পরিসংখ্যান। এই অবস্থায় কোনও কোনও মহলে ওমিক্রন নিয়ে তৈরি হয়েছে হালকা গা ছাড়া ভাব। তাদের উদ্দেশেই সতর্কবার্তা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization)। তাদের সাফ বক্তব্য, ওমিক্রন নিয়ে অতিসরলীকরণ বিপজ্জনক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) কোভিড বিভাগের টেকনিক্যাল প্রধান ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি কম, এটা ভেবে ওমিক্রনকে হালকাভাবে নেওয়া বিপজ্জনক। যার সঙ্গেই তাঁর সতর্কবার্তা, ‘বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা আশ্চর্যজনকভাবে বাড়ছে, এবার হাসপাতালে রোগী উপচে পড়বে, সাবধান থাকুন।'
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে সতর্কবার্তার সঙ্গে কার্যত একসুরে বিশিষ্ট চিকিৎসক কাজলকৃষ্ণ বণিক জানিয়েছেন, 'হু প্রথম থেকেই ওমিক্রনকে ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন বলে আসছে, তাই একে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা ঠিক নয়। ওমিক্রন কিন্তু যে কোনও মানুষকেই প্রভাবিত করতে পারে, কার শরীরের প্রতিরোধ শক্তি ঠিক কতটা তা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়। তাই সচেতনতা একান্ত প্রয়োজন ও সতর্কতাও।'
কয়েকদিন আগেই প্রখ্যাত শল্য চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেছিলেন, 'অতি রুগ্ন ভাইরাস হলেও ওমিক্রনের ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা অনেক গুণ বেশি। তাই একসঙ্গে যদি অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়ে যান, যেমনটা হওয়ার আশঙ্কাই বেশি, সেক্ষেত্রে কিন্তু আগের মতোই মৃত্যুমিছিল দেখতে হতে পারে আমাদের। তাই সতর্ক থাকা খুব দরকার। আর সবথেকে বেশি দরকার আমাদের হাতে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র মাস্কের ব্যবহার।'
এদিকে হু-র সতর্কবার্তা প্রসঙ্গে চিকিৎসক অজয় সরকার অবশ্য জানিয়েছেন, 'অযথা ভয় পাওয়ার মতো কোনও বিষয় রয়েছে বলে মনে কর না। তবে কো-মর্বিডিটি যাদের রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রাণঘাতী হতে পারে এই ভ্যারিয়েন্ট। এমনিতেই যখন কেন্দ্রীয় সরকার আইসোলেশনের সময় ১৪ থেকে কমিয়ে ৭ দিন করে দিচ্ছে, সেক্ষেত্রে বিষয়টা সহজেই বোঝা যায়। ওমিক্রন দ্রুত ছড়ায়, অনেককে আক্রান্ত করতে পারে, তবে সতর্ক থাকলে সহজেই এই বিপদ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।'
আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্ত কি না জানতে বাড়িতেই পরীক্ষা করুন সহজ পদ্ধতিতে
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )