Modi on Operation Sindoor: মোদির 'সতর্কবার্তা'র পরই দাম কমল চিনা এয়ারক্র্যাফটের! যুদ্ধবিমান সংস্থার শেয়ারে বিরাট পতন
Operation Sindoor: মোদির 'হুঁশিয়ারি', চিনা যুদ্ধবিমানের দামে পতন! 'অপারেশন সিঁদুরের' সাফল্যে প্রতিরক্ষা খাতে লক্ষ্মীলাভ ভারতের

নয়া দিল্লি: অপারেশন সিঁদুরের পর জলন্ধরের আদমপুর এয়ারবেসে গিয়ে ফের কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি যখন সেখানে উপস্থিত, তখন সেখানে রাখা ছিল একটি MIG-29 যুদ্ধবিমান ও অপারেশন সিঁদুরের 'শো-স্টপার' S-400। তার সামনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, এরপর কোনও জঙ্গি হামলা হলে ভারত জবাব দেবে। এখন অপারেশন সিঁদুরই ভারতের নিউ নর্মাল।
'অপারেশন সিঁদুর'-এর সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের প্রভাব কেবল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, চিনের বিমান শিল্পও ধাক্কা খেয়েছে। বিশেষ করে যে কোম্পানি পাকিস্তানে যুদ্ধবিমান J-10 সরবরাহ করে, তার শেয়ারের দাম পড়ে যায় উল্লেখযোগ্যভাবে।
অ্যাভিক চেংডু এয়ারক্রাফ্টের শেয়ার ৯ শতাংশ কমেছে
J-10 যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী চিনা কোম্পানি Avic Chengdu Aircraft-এর শেয়ারের দাম ১৩ মে, মঙ্গলবার কমেছে অনেকটাই। শেয়ারের দাম ৯.৩১ শতাংশ কমে ৮৬.৯৩ ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা খাতে ঊর্ধ্বগতি
'অপারেশন সিঁদুর' পাকিস্তানি সেনার তরফে প্রচার করা হয়েছিল, যে আদমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটি ধ্বংস হয়ে গেছে। কিনতু, এই দাবি যে পুরোপুরি মিথ্য়ে, তা আজ প্রমাণ করে দিলেন নরেন্দ্র মোদি। আচমকা সকালে তিনি পৌঁছে গেলেন আদমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। সেখানে দাঁড়িয়েই কড়া বার্তা দিলেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে।
ভারতের সফল 'অপারেশন সিঁদুর'-এরপর, ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলির শেয়ারের দাম বেড়ে যায়, অন্যদিকে পাকিস্তানকে সমর্থনকারী কোম্পানিগুলি ধসে পড়েছে।
পাকিস্তানের "ড্রাগন চুক্তি" এর প্রভাব
"ফিয়ার্স ড্রাগন" নামে পরিচিত J-10 জেটটি চিনের চেংডু বিমান শিল্প নির্মিত একটি একক ইঞ্জিনের হালকা ওজনের যুদ্ধবিমান। ১৯৯৮ সালে প্রথম উড়েছিল এটি। ২০০৩ সালে চিনা সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর উন্নত সংস্করণ J-10C ২০২২ সালে পাকিস্তানে রপ্তানি করা হয়েছিল।
Dassault Aviation (Rafale) এর শেয়ারের দাম বেড়েছে
অন্যদিকে, ফ্রান্সের দ্যাসোঁ এভিয়েশনের (রাফাল জেট প্রস্তুতকারক) শেয়ারের দাম ৩ শতাংশ বেড়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, ভারত 'অপারেশন সিঁদুর'-এ রাফাল যুদ্ধবিমান, SCALP ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং হ্যামার বোমা ব্যবহার করেছে। ভারত পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন না করেই এই অভিযান পরিচালনা করেছে।
একদিন আগেও চিনের শেয়ারবাজার তেজি ছিল, তবে মঙ্গলবার বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে মোদির ভাষণের পর থেকে এখন ভেঙে পড়েছে।
মাত্র একদিন আগে, অ্যাভিক চেংডু এয়ারক্রাফ্টের শেয়ারের দাম ২০ শতাংশ বেড়ে ৯৫.৮৬ ইউয়ানে পৌঁছেছিল, কিন্তু মোদির ভাষণ এবং পাকিস্তানের কৌশলগত ব্যর্থতার পর, বিনিয়োগকারীরা শেয়ার থেকে সরে আসেন। এছাড়াও, চায়না স্টেট শিপবিল্ডিং কর্পোরেশনের শেয়ার ৪ শতাংশ এবং ঝুঝো হংডা ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন লিমিটেডের শেয়ার ৬ শতাংশ কমেছে।
কূটনীতির পাশাপাশি বাজারে ভারতের শক্তি দেখা গেল
'অপারেশন সিঁদুর' -এর সাফল্য কেবল পাকিস্তানকেই নয়, বরং তার অস্ত্র সরবরাহকারী এবং সমর্থকদেরও বার্তা দিয়েছে। ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং রাজনৈতিক বার্তা বিশ্ব বাজারেও প্রভাব ফেলেছে, যেখানে ভারতের প্রতিরক্ষা মজুদের উপর আস্থা বেড়েছে।





















