Pahalgam News : ফেব্রুয়ারিতেই তৈরি হয়েছিল হামলার ছক, নেপথ্যে লস্কর-ডেপুটি-চিফ সৈফুল্লাহ্ই ! চাঞ্চল্যকর তথ্য সূত্রে
তার নির্দেশেই বৈসরনে নিরীহ পর্যটকদের উপর হামলা চালানো হয়। নাম, পরিচয়, ধর্ম জেনে বেছে বেছে খুন করা হয় হিন্দু পর্যটকদের।

শ্রীনগর: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসাবে সৈফুল্লাহর এর নাম সামনে এসেছে। লস্কর ঘনিষ্ঠ এই জঙ্গিই পুরো ঘটনার পিছনে আছে বলেও দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন সূত্রে। যদিও ভারতের বার্তার পর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে লস্কর জঙ্গি সৈফুল্লাহ । এতে তাকে এই হামলার নিন্দা করতেই শোনা যায়। বলা হয়, এর জন্য দায়ী নয় তার সংগঠন বা সে। বরং ভারতের দিকেই সেই ভিডিওয় আঙুল তোলা হয়। কিন্তু এবার ভারতের গোয়েন্দা সূত্র বলছে, এই হামলার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিলেন সৈফুল্লাহই। আর তা তৈরি হয়েছিল মীরপুরে।
বৈসরন উপত্যকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ডেপুটি চিফ সৈফুল্লাহ্। তার নির্দেশেই বৈসরনে নিরীহ পর্যটকদের উপর হামলা চালানো হয়। নাম, পরিচয়, ধর্ম জেনে বেছে বেছে খুন করা হয় হিন্দু পর্যটকদের।
সূত্রের খবর, লস্করের ডেপুটি চিফের নির্দেশে ৫ জন জঙ্গি নিয়ে হামলার পরিকল্পনা করা হয়। পহেলগাঁওয়ে হামলা চালাতে ফেব্রুয়ারি মাসেই পরিকল্পনা সেরে ফেলে সৈফুল্লাহ্। তারপর পরিকল্পনা অনুসারে এগোচ্ছিল কাজ। সূত্রের খবর, মীরপুরে বসে পহেলগাঁও হামলার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়। মার্চ মাসে মীরপুরে ওই বৈঠক করে পহেলগাঁও হামলায় অভিযুক্ত জঙ্গিরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সূত্রের খবর, গত ফেব্রুয়ারি মাসে লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটে হামাসের শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। গত ৫ ফেব্রুয়ারি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটে 'কাশ্মীর সংহতি দিবস', 'আল আকসা বন্যা' দিবস পালিত হয়। ইজরায়েল ও ভারত বিরোধী শক্তিগুলিকে আরও সংগঠিত করা এবং নিজেদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করাই ছিল এই সম্মেলন আয়োজনের অন্যতম কারণ৷ সেখান থেকে ভারতের উদ্দেশে হুমকিও দেওয়া হয়। তখন থেকেই কি ঠিক হয়ে গিয়েছিল নৃশংস এই হামলার ছক?
'কাশ্মীর আমাদের গলার শিরা ছিল এবং আছে। আমরা কখনই ভারতের দখলদারি বিরুদ্ধে বিপ্লবী সংগ্রামে কাশ্মীরি ভাইদের ত্যাগ করতে পারব না। গত ১৬ এপ্রিল কাশ্মীর নিয়ে এমনই উস্কানিমূলক কথা বলেছিলেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তারপর এই আঘাত। এই ঘটনার শিকড় যে অতি গভীরে, তা স্পষ্ট।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
