Pahalgam Attack: বৈসরন ভ্যালিতেই করছিল ঘুরঘুর, গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ঝাঁপিয়ে পড়ে ধরল সেনা !
Baisaran Valley Attack : মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে উপত্যকার কোণায় কোণায় তল্লাশি চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সতর্ক পুলিশও।

শ্রীনগর: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে নাগরিক সুরক্ষায় ৭ মে দেশজুড়ে মক ড্রিলের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই বৈসরন ভ্যালি ও তার আশেপাশের জঙ্গলে চলছে চিরুনি তল্লাশি। দিন রাত এক করে হামলাকারীদের খুঁজছে নিরাপত্তাবাহিনী। মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে উপত্যকার কোণায় কোণায় তল্লাশি চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সতর্ক পুলিশও। রাজৌরি, পুঞ্চে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গাড়ি থামিয়ে চলছে তল্লাশি। গুলমার্গে রুটমার্চ করছে BSF । এরই মধ্যে সোমবার এক সন্দেহভাজনকে আটক করল নিরাপত্তা বাহিনী।
সূত্রের খবর, সন্দেহভাজনকে ধরার সময় দেখা যায়, সেএকটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে ছিল। জওয়ানরা তা দেখেই সন্দেহ করে। সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, কিন্তু তার কথার মধ্যে চূড়ান্ত অসামঞ্জস্য ধরা পড়ে বলে সূত্রের খবর। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটটি সে কোথা থেকে পেয়েছে, এই প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারেনি সন্দেহভাজন। বা দিতে চায়নি।
এরপর নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সন্দেহভাজনের মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
একের পর এক হাইভোল্টেজ বৈঠকের পর, সোমবার রাজ্যে-রাজ্যে যুদ্ধ-সাইরেন তৈরি রাখা, আর নাগরিকদের মক ড্রিল করানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। শ্রীনগরের ডাল লেকেও চলছে মক ড্রিলের প্রস্তুতি। রয়েছেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। পাাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের পরিস্থিতি হলে কী পদক্ষেপ করতে হবে? ৭ মে সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে মক ড্রিলের জন্য সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ডাল লেকে তারই প্রস্তুতি চলছে। উত্তরপ্রদেশে মক ড্রিলের জন্য সমস্ত জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন DGP প্রশান্ত কুমার। রাজস্থানের জোধপুর ও মুম্বইতেও মক ড্রিলের প্রস্তুতি তুঙ্গে।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারগুলিকে পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে 'এয়ার রেড ওয়ার্নিং' সাইরেন বাজাতে হবে । অর্থাৎ, আকাশপথে শত্রু আক্রমণের সঙ্কেত হিসেবে সাইরেন বাজানো হবে। সাধারণ মানুষ, ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যাতে তারা শত্রুপক্ষের আক্রমণের মুখে নিজেদের রক্ষা করতে পারে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আলো নিভিয়ে রাখার পরিস্থিতি তৈরি হলে, সেই সময় কী করণীয়, তার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। জানাতে হবে, শত্রুর দৃষ্টি থেকে প্রাথমিকভাবে নিজেকে আড়াল করা বা লুকোনোর উপায়।
জনবহুল এলাকা থেকে কীভাবে দ্রুত ও নিরাপদে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার মহড়া দিতে বলা হয়েছে।






















