(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Pakistan News: মক্কার বাইরে পকেটমারি, উপচে পড়ছে জেলখানা, ধনী দেশগুলিতে ভিক্ষুক রফতানি করছে পাকিস্তান!
Pakistani Beggars: এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক সঙ্কট চরমে পাকিস্তানে। মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যবৃদ্ধির জেরে দমবন্ধ হয়ে আসার জোগাড়।
নয়াদিল্লি: পড়শি দেশে নাশকতায় ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ রয়েইছে। এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পশ্চিম এশিয়া জুড়ে ভিক্ষুক রফতানির অভিযোগ উঠল (Pakistani Beggars)। সেই নিয়ে পাকিস্তানকে কার্যত হুঁশিয়ারিও দিল সৌদি আরব এবং ইরাক। অবিলম্বে ভিক্ষুক রফতানি বন্ধ করতে পাকিস্তানকে বার্তা দিল তারা। (Pakistan News) ফলে আন্তর্জাতিক মহলে ফের একবার মাথা হেঁট হল পাকিস্তানের।
এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক সঙ্কট চরমে পাকিস্তানে। মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যবৃদ্ধির জেরে দমবন্ধ হয়ে আসার জোগাড়। খাবার থেকে জ্বালানি, নিত্য প্রয়োজনের জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতে দলে দলে পাকিস্তান থেকে পশ্চিম এশিয়ায় ভিড় করছেন মানুষজন। ভিক্ষাবৃত্তি করে টাকা রোজগারের চেষ্টা করছেন।
স্ট্যান্ডিং কমিটি অফ ওভারসিজ পাকিস্তানিজ সংগঠনের তরফে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সংগঠনের সচিব জিশান খানজাদা জানিয়েছেন, পশ্চিম এশিয়ায় যত ভিক্ষুক জেলে রয়েছেন, তার মধ্যে ৯০ শতাংশই পাকিস্তানের নাগরিক। সৌদি আরব, ইরাকের মতো দেশে জেলবন্দি রয়েছেন তাঁরা।
পাকিস্তানের জিও নিউজ উর্দু খানজাদাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ইরাক এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। জানিয়েছেন, তীর্থযাত্রী সেজে ভিসা আদায় করেন পাকিস্তানের নাগরিকরা। উমরার দোহাই দিয়ে দেশ ছাড়েন। তার পর অন্য দেশে পা রেখে ভিক্ষাবৃত্তিতে প্রবৃত্ত হন।
আরও পড়ুন: Viral News: ঝুঁকি এড়াতে লকারে রেখেছিলেন ১৮ লক্ষ, এক ভুলে মাটি হল গৃহিণীর সব টাকা
শুধু তাই নয়, মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ চত্বরে যত পকেটমার ধরা পড়েন, তাঁদের অধিকাংশই পাকিস্তানি নাগরিক বলে জানিয়েছেন খানজাদা। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক করেন পাক সেনেটর মঞ্জুর কাকর। তাঁকে খানজাদা জানান, এই মুহূর্তে প্রায় ১ কোটি পাকিস্তানি নাগরিক বিদেশে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একটি বড় অংশ ভিক্ষাবৃত্তি করছেন বিদেশের মাটিতে। তার জন্যই পাকিস্তান থেকে পশ্চিম এশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেওয়া বিমানগুলিতে আসন ফাঁকা পাওয়া যায় না। ভিসা জোগাড় করে দলে দলে রওনা দেন মানুষজন।
পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এই মুহূর্তে ১৬ লক্ষ পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছেন। কাতারে রয়েছেন ২ লক্ষ পাকিস্তানি নাগরিক। পাকিস্তানি ভিক্ষুকে তাদের জেলগুলি উপচে পড়ছে বলে জানিয়েছে ইরাক এবং সৌদি আরব। রাস্তাঘাটে ভিক্ষা চেয়ে বেড়ান তাঁরা।
পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকেই এর জন্য দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিগত অর্থবর্ষেই পাকিস্তানের দারিদ্র্যতার হার ৩৪.৪ শতাংশে গিয়ে ঠেকে। আরও ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে গিয়েছেন। বিশ্বব্যাঙ্কের তরফেও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।