Bangladesh News: পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফের এল জাহাজ ! পণ্যের আড়ালে ভারত বিরোধী জঙ্গিগোষ্ঠীদের অস্ত্র সরবরাহের পন্থা?
Pakistani Ship Come in Bangladesh: গতবারের থেকে দ্বিগুণের বেশি পাকিস্তান থেকে কন্টেনার নিয়ে চট্টগ্রামে এল জাহাজ, পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজে কোনও তল্লাশি না করার নির্দেশ ইউনূস সরকারের !
নয়াদিল্লি: একদিকে ভারত-বিদ্বেষ, অন্যদিকে পাকিস্তানের আরও কাছাকাছি বাংলাদেশ। এক মাসে দ্বিতীয়বার, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এল জাহাজ। গতবারের থেকে দ্বিগুণের বেশি কন্টেনার নিয়ে চট্টগ্রামে এল জাহাজ। পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্য বাড়াতে ইসলামাবাদকে ঢালাও ছাড় ইউনূস সরকারের। পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজে কোনও তল্লাশি না করার নির্দেশ ইউনূস সরকারের ( (Bangladesh Chief Adviser Yunus Muhammad )।
পণ্যের আড়ালে ভারত বিরোধী জঙ্গিগোষ্ঠীদের জন্য অস্ত্র সরবরাহের পন্থা? পাকিস্তানের মতোই কি বাংলাদেশে মাটিকেও ভারত-বিরোধিতায় ব্যবহার?ওপারের পাক-প্রীতির মধ্যেই এপারে জালে আনসারুল্লা বাংলার ৮ জঙ্গি। সম্প্রতি কাশ্মীর নিয়ে হুঙ্কার আনসারুল্লা বাংলার প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর ভারত বিরোধী জসিমউদ্দিন রহমানিকে মুক্তি ইউনূস সরকার। 'মিনি পাকিস্তান' হয়ে উঠছে বাংলাদেশ? ভারতের ঘরের পাশে আরেক পাকিস্তান?
কায়রোতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেন মহম্মদ ইউনূস। বিভিন্ন ইস্যুতে একে অন্যকে সহযোগিতার বার্তা দিল দুই দেশ। বাংলাদেশকে ফের পাকিস্তান বানাতে চাইছেন ইউনূস। সমালোচনার ঝড় বাংলাদেশেই।সরাসরি পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রামে পণ্যবাহী জাহাজ। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের পাক-হাইকমিশনারের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক।পারমাণবিক বোমার কথা বলে, পাকিস্তানের কট্টরপন্থী নেতার বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো।
অন্যদিকে পাকিস্তানের পরমাণু বোমা থাকায়, উৎসাহিত বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্তা।এসব তো চলছিলই সবশেষে মনে হয়, এটাই বাকি ছিল! চূড়ান্ত ভারত-বিদ্বেষী আবহে, মিশরের রাজধানী কায়রোতে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। একেবারে পরম বন্ধুর মতো একে-অন্যকে জড়িয়ে ধরেন। করমর্দন করেন। তারপর হয় বৈঠক। শাহবাজ ও ইউনূসের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের প্রতিনিধিরাও।
আরও পড়ুন, নিউ আলিপুরের ঝুপড়িতে বিধ্বংসী আগুন ! শিয়ালদা-বজবজ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত ..
সূত্রের খবর বৈঠকে শরিফ বলেন,আমরা সত্যিই ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার অপেক্ষায় আছি। সূত্রের খবর, মুহম্মদ ইউনূস ১৯৭১ সালের বেশকিছু ইস্যু নিষ্পত্তি করার জন্য ইসলামাবাদকে অনুরোধ জানিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরিফও ইউনূসকে তার সুবিধামত তাদের দেশে আসার আমন্ত্রণ জানান।ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ।চিনি শিল্প এবং ডেঙ্গু মোকাবিলার মতো নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।এদিনের বৈঠক মিশরে হলে, ইউনূসকে তাঁর সুবিধামত পাকিস্তানে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী।দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এই বৈঠকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, বাংলাদেশেরই একাংশ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।