Narendra Modi: 'জওয়ানদের আত্মত্যাগ সবসময়...', সংসদ হামলার বর্ষপূর্তিতে বার্তা মোদির
Parliament Attack Anniversary: এদিন সংসদ হামলায় নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন সনিয়া গাঁধী, খাড়গে-সহ বিরোধী দলের একাধিক সাংসদ
নয়াদিল্লি: স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে যে যে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে অন্যতম ২০০১ সালের সংসদ হামলা (Parliament Attack)। দেশের আইনসভায় এই হামলার ঘটনা কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। এই বছর সেই ঘটনার ২২ বছরের বর্ষপূর্তি।
বুধবার, সংসদ হামলায় নিহতদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়হে, সনিয়া গাঁধী (Sonia Gandhi) এবং অন্য নেতারা।
দিনটিকে স্মরণ করে X হ্যান্ডেলে ট্যুইট করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। তিনি লিখেছেন, '২২ বছর আগে এই দিনে জঘন্য সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল দেশের প্রথমসারির রাজনৈতিক নেতাদের মারার জন্য। আমাদের দেশের গণতন্ত্রের মন্দিরকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছিলেন আমাদের দেশের অসমসাহসী জওয়ানরা। ৯ জন তাঁদের প্রাণও দিয়েছিলেন। দেশ তাঁদের প্রতি সবসময় ঋণী থাকবে।'
এদিন শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে X হ্যান্ডেলে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি লিখেছেন, 'বিপদের মুখে ওঁদের সাহস- এবং আত্মত্যাগ আমাদের দেশের স্মৃতিতে অমলিন থাকবে সবসময়।'
#WATCH | Prime Minister Narendra Modi, Lok Sabha Speaker Om Birla, Union Home Minister Amit Shah, BJP national president JP Nadda, Congress president Mallikarjun Kharge, Congress Parliamentary Party Chairperson Sonia Gandhi and other leaders observe a minute's silence at the… pic.twitter.com/OckQNeaQXV
— ANI (@ANI) December 13, 2023
এদিন শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন শহিদদের পরিবারের সদস্যরাও। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
কী হয়েছিল সেদিন?
২০০১ সালে ১৩ ডিসেম্বর ভারতের সংসদে হামলা করেছিল ৫ জন সন্ত্রাসবাদী। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই -তৈবা এবং জৈশ-ই-মহম্মদের সদস্য ছিল হামলাকারীরা। ভুয়ো স্টিকার ব্য়বহার করে গাড়ি নিয়ে সংসদ চত্বরে ঢুকেছিল হামলাকারীরা। একে-৪৭, গ্রেনেড, গ্রেনেড লঞ্চার ছিল হামলাকারীদের হাতে। সংসদ চত্বরে ঢুকেই নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করেছিল তারা। সংসদ কক্ষের মধ্যে ঢোকার পরিকল্পনা থাকলেও নিরাপত্তারক্ষীদের বাধা দেওয়ার জন্য সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। প্রাণে বেঁচে যান সাংসদরা। তার বিনিময়ে প্রাণ খোয়াতে হয়েছিল ৯ জনকে। বেশ কিছুক্ষণের গুলি বিনিময়ের পরে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে নিহত হয়েছিল সব জঙ্গি। সংসদ হামলায় ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল আফজল গুরু এবং তাঁর ভাই সওকত হুসেইন গুরু। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার পরে ২০১৩ সালে দিল্লির তিহাড় জেলে ফাঁসি হয় আফজল গুরুর।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে আধার আপডেটের শেষদিনে বদল! নতুন তারিখ কবে?