PM Modi : 'আমিই দেশের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি...', কী বললেন মোদি ?
Assam News: বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, "একসময় অসম এবং উত্তর-পূর্বকে অবহেলা করা হত। কিন্তু, আজ মোদি এই এলাকার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে উঠেছেন।"

গুয়াহাটি : দেশের উত্তর-পূর্ব অংশকে একসময় অবহেলা করেছে কেন্দ্র। কিন্তু, বিজেপির শাসনকালে এই এলাকা দ্রুত উন্নতি করছে। সোমবার দুই দিনের অসম সফরে গিয়ে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নিজেই ওই এলাকার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে উঠেছেন বলেও মন্তব্য করেন। অসমের সারুসাজাই স্টেডিয়ামে একটি নৃত্য অনুষ্ঠান যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, "একসময় অসম এবং উত্তর-পূর্বকে অবহেলা করা হত। কিন্তু, আজ মোদি এই এলাকার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে উঠেছেন।"
কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে রাতে থাকার কথা স্মরণ করেন তিনি। বলেন, "আমিই দেশের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে রাতে থেকেছেন। অহিময়া ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি দিয়ে অহমিয়া ভাষাকে ধ্রুপদি ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ করা হয়েছে। চড়াইদেও ময়দানকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় ঢোকানো হয়েছে । যা অসময়ে ঐতিহাসিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।"
পরিষেবা এবং অগ্রগতি...দুই বিষয়েই অঙ্গীকারবদ্ধ বিজেপি সরকার। এমনই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আদিবাসী উপজাতিদের কল্যাণ ও উন্নয়নে প্রশাসনের প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। উন্নত মাতৃসেবা নিশ্চিত করতে, বিজেপি সরকার চা বাগানে কাজ করা গর্ভবতী মহিলাদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। আরও বলতে গেলে, ৩৫০টি আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির এবং ১০০টিরও বেশি মডেল চা বাগান স্কুল নির্মাণের মাধ্যমে অসমে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।"
প্রধানমন্ত্রী সংযোজন, 'উত্তর-পূর্ব এলাকা খুব দ্রুত উন্নতি করছে।' অসমের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি রাজ্যের সাংস্কৃতিক এবং উন্নয়নমূলক অগ্রগতিকে বাহবা জানান। এর পাশাপাশি তিনি অসময়ের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও অসমের মানুষের প্রশংসা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, "এই ধরনের সাংস্কৃতিক শোকেস অসম এবং ভারত উভয়ের গর্ব বাড়ায়।" প্রধানমন্ত্রীর যোগদান করা এই অনুষ্ঠানের দিকে নজর থেকেছে আন্তর্জাতিক স্তরের। উপস্থিতির তালিকায় ছিলেন ৬০-এর বেশি অ্যাম্বাসাডর। যা এই এলাকার বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা পরিচিতির কথা তুলে ধরে।
সংশ্লিষ্ট নৃত্য অনুষ্ঠানের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। যা নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালের সেই অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করেন। যখন বিহু নাচে সাড়ে ১১ হাজার শিল্পী অংশ নিয়েছিলেন। যা বিশ্ব রেকর্ড গড়ে তোলে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
