PM Modi: 'অপারেশন সিঁদুরের' পর এই প্রথম বিদেশ সফর, কানাডা-সহ ৩ দেশে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
India-Canada Relationships: এই সফরের অন্য একটি তাৎপর্যও রয়েছে। খলিস্তানি ইস্যুকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ভারত ও কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

নয়াদিল্লি : ত্রি-দেশীয় সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবারই তাঁর সফর শুরু হচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে কানাডাও। সেখানে G7 সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। শনিবার একথা জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের হাত ধরে নতুন করে নয়াদিল্লি ও ওট্টায়ার (কানাডার রাজধানী) সম্পর্ক মজবুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কানাডা ছাড়াও দুই ভূমধ্যসাগরীয় দেশ সাইপ্রাস ও ক্রোয়েশিয়ায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে 'অপারেশন সিঁদুর' চালায় ভারত। তারপর এই প্রথম বিদেশ সফর প্রধানমন্ত্রীর। সেদিক থেকে দেখলে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এই সফর। এই সফরের অন্য একটি তাৎপর্যও রয়েছে। খলিস্তানি ইস্যুকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ভারত ও কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এই আবহে কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী G7 সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর সেই সম্পর্কের পুনরায় উন্নতি হতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
সফরের দ্বিতীয় পর্বে কানাডা যাবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১৬ ও ১৭ জুন কানাডার কানানাস্কিসে বসবে G7 সম্মেলন। কানাডর প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির আমন্ত্রণে সেখানে যাবেন তিনি। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেই তালিকায় থাকতে পারে- জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের মতো বিষয়; এমনই জানাচ্ছে মন্ত্রক।
প্রাথমিকভাবে খবর ছিল, কানাডায় G7 সম্মেলনে যোগ দিতে নাও যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। যা ৬ বছরে প্রথমবার হত। এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে, বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সরকার ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের উপায় অনুসন্ধান করছে। উভয় দেশ "প্রাণবন্ত গণতন্ত্র"। জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আসন্ন বৈঠককে নয়াদিল্লি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য মতামত বিনিময় এবং পথ অন্বেষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখছে।
সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক ইস্যুতে বিরোধ দেখা দিয়েছে ভারত-কানাডার সম্পর্কে। যার মধ্যে মূল বিষয় ছিল- খলিস্তানি সমস্যা। খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারত-কানাডার সম্পর্ক। প্রাথমিকভাবে কানাডায় এক গুরুদ্বারের বাইরে খলিস্তানি নেতা নিজ্জরকে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। এই ঘটনার পিছনে ভারতের হাত রয়েছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। তবে পরে জাস্টিন ট্রুডো স্বীকার করে নেন যে, খলিস্তানি জঙ্গি হত্যায় ভারতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছিলেন সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রমাণ ছিল না।





















