Protest Against Shehbaz Sharif: শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে ফুঁসছে জনতা, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিরাট বিক্ষোভ!
পাক সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভে ফুঁসছে অধিকৃত কাশ্মীর। অভিযোগ, গোটা অঞ্চলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো ও পানীয় জলের অভাব গুরুতর।

নয়া দিল্লি: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) সাম্প্রতিক সময়ের নিরিখে বিরাট বিক্ষোভের সাক্ষী হল। আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি (এএসি) সোমবার বিরাট বিক্ষোভ শুরু করেছে। এমনকী, অনির্দিষ্টকালের জন্য 'শাটডাউন' এবং ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদ ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে। এমনকী মাঝরাত থেকেই ইন্টারনেট সংযোগও বিছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘট ঘিরে উত্তেজনাও বাড়ছে। সোমবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মরিয়া পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি (AAC) কয়েক দশক ধরে রাজনৈতিক প্রান্তিককরণ এবং অর্থনৈতিক অবহেলার কথা উল্লেখ করে তাদের ব্যানারে হাজার হাজার লোককে একত্রিত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানে বসবাসকারী কাশ্মীরি শরণার্থীদের জন্য সংরক্ষিত পাক অধিকৃত কাশ্মীর বিধানসভার ১২টি আইনসভা আসন বাতিল করা।
পাক সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভে ফুঁসছে অধিকৃত কাশ্মীর। অভিযোগ, গোটা অঞ্চলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো ও পানীয় জলের অভাব গুরুতর। এও বলা হয়েছে, বারবার বলা সত্ত্বেও পাক সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বরং দুর্নীতি-ঘুষ নেওয়া বেড়েছে অনেকটা।
মুজাফফরাবাদে AAC নেতা শওকত নওয়াজ মীর বলেন, 'আমাদের এই বিক্ষোভ কোনও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয় বরং ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের জনগণকে যে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।' তিনি এও বলেন, 'যথেষ্ট হয়েছে। হয় অধিকার দিন, নয়তো জনগণের এই বিক্ষোভের মুখোমুখি হোন। ১৩ ঘন্টা ধরে আলোচনার পরও মূল দাবিগুলি সমাধানে ব্যর্থ হওয়ার পর AAC নেতারা, PoK কর্তৃপক্ষ এবং ফেডারেল মন্ত্রীদের মধ্যে ম্যারাথন আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়।
ইতিমধ্যেই সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। আরও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ওই এলাকায়। বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। সেখানে এও বলা হয়েছে, এই অঞ্চলের জনসাধারণ পাক সরকারের নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলছে, যা নিয়েই দীর্ঘ অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।






















