Iman Jojo on Roddur Roy: 'ওঁর অশালীন ভাষার শেষ হোক', রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ইমন-জোজো
Iman Jojo on Roddur Roy: এবিপি আনন্দের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল ইমন চক্রবর্তীর সঙ্গে। রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে ইমন বলেন, 'ওঁর অশালীন ভাষার এবার সমাপ্তি হোক।'
কলকাতা: রাজনীতি থেকে শুরু করে শিল্পীমহল, রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছেন বাংলার একাধিক পরিচিত মুখেরা। ইতিমধ্যেই রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষ, শান্তনু সেন। নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন বিজেপির অনুপম হাজরাও। আর এবার রোদ্দুর রায় বিতর্কে মুখ খুললেন সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী ও জোজো।
এবিপি আনন্দের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল ইমন চক্রবর্তীর (Iman Chakraborty) সঙ্গে। রোদ্দুর রায়ের (Roddur Roy) গ্রেফতারি প্রসঙ্গে ইমন বলেন, 'ওঁর অশালীন ভাষার এবার সমাপ্তি হোক। ওনার কথা শুনে মনে হয় ভালো খারাপ সবকিছুতেই উনি প্রতিবাদ করেন। যাই করুন, মার্জিতভাবে করুন। আমাদের রাজ্যের যিনি মাথায় বসে রয়েছেন, তাঁকে যদি এভাবে অশালীন আক্রমণ করা হয় আমার মতে দল-মত নির্বিশেষে তার প্রতিবাদ করা উচিত। রবীন্দ্রনাথের গানের যে বিকৃতি উনি করেছেন আর তার জন্য উনি যা নাম করেছেন, ভাগ্য ভালো উনি এখনও বাংলায় আছেন।'
এবিপি আনন্দের তরফ থেকে এই বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল সঙ্গীতশিল্পী জোজো মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি বলেছেন, 'প্রথমত একজন সুস্থ মানুষ হিসেবে আমি এগুলো সমর্থন করি না। একজন মহিলা হয়ে একজন মহিলার নামে এমন কথা আমি শুনতে চাই না। এই ধরনের অসভ্য মানুষের এইরকমই হওয়া উচিত। দীর্ঘদিন কোনও সুস্থ সমাজে এগুলো চলতে পারে বলে মনে হয় না। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরণের মন্তব্য করা বন্ধ করা উচিত। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া কেবল মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ নয়, বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্যও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি। সেইসব জায়গায় এই ধরনের মন্তব্য থাকা ক্ষতিকর।'
কলকাতার সিপির কাছে রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে নালিশ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen) বলছেন, 'কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভদ্রলোককে দেখেছিলাম। পরে জানলাম তাঁর নাম রোদ্দুর রায়। আসল নাম অনির্বাণ রায়। দেখলাম তিনি অত্যন্ত অশ্রাব্য ভাষায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম সহ একাধিক মন্ত্রী এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর আক্রমণ করছেন। আমার মনে হয়েছিল এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত। আমি ট্যুইট করেছিলাম সেইসঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকেও জানিয়েছিলাম। কলকাতা পুলিশ আমায় আশ্বাস দিয়েছিল তাঁরা বিষয়টি দেখবেন।'