Ripun Bora: "বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতারা তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগ রাখছেন", বিস্ফোরক দাবি রিপুন বোরার
Ripun Bora Joins TMC: মমতা শিবিরে এসে অসমের এই নেতা বলেন, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বদলে বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া। অসমের শীর্ষ নেতৃত্ব কয়েকজন গোপনে বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করছেন’।
নয়া দিল্লি: রবিবার (Sunday) কংগ্রেস (Congress) ছাড়লেন অসম (Assam) কংগ্রেসের নেতা রিপুন বোরা (Ripum Bora)। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে (tmc)। আর সেই যোগদানের কথা ট্যুইটারে (Twitter) শেয়ারও করেছেন। সঙ্গে ছিল কংগ্রেসকে দেওয়া পদত্যাগ পত্রও। সেই পোস্টে কংগ্রেসত্যাগী নেতা বলেছেন, আজ থেকে আমার নতুন রাজনৈতিক যাত্রা শুরু। তবে এখানেই থেমে থাকেননি রিপুন। কংগ্রেসের বেশ কিছু বর্ষীয়ান নেতা ভিতরে ভিতরে বিজেপির সঙ্গে গোপন বোঝাপড়া করছে এ কথাও বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রিপুন বোরা অসমের কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ ও প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি। এদিন মমতা শিবিরে এসে অসমের এই নেতা বলেন, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বদলে বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া। অসমের শীর্ষ নেতৃত্ব কয়েকজন গোপনে বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করছেন’। অসম কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী দ্বিতীয় বড় নাম এই রিপুন বোরা। এর আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুস্মিতা দেব। তাঁকে দলের তরফে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছিল।
কংগ্রেস প্রধান সনিয়া গাঁধীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠানোর সময় ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি রিপুন বোরা বিশদ উল্লেখ করেছেন যে কেন তিনি "দল থেকে পদত্যাগের এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।"তিনি লিখেছেন, "...দেশের এই সংকটময় মোড়ে বিজেপিকে প্রতিরোধ করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে এবং আক্রমণাত্মকভাবে লড়াই করার পরিবর্তে, বিভিন্ন স্তরের এই পুরানো দলের নেতারা নিজেদের স্বার্থের জন্য একে অপরের সাথে লড়াই করছেন।"
From today I have started my new political journey! pic.twitter.com/pGWfycwI4D
— Ripun Bora (@ripunbora) April 17, 2022
তিনি এও বলেন, "২০১৬ থেকে অসম বিধানসভা নির্বাচনে বিধ্বংসী পরাজয়ের পর আমাকে অসম পিসিসি প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে আমি দলকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কিন্তু দলের মধ্যেই লড়াই জারি রয়েছে। অসম পিসিসির বর্ষীয়ান নেতাদের অভ্যন্তরীণ লড়াই চলছে। মানুষ আমাদের উপর আস্থা হারিয়েছে এবং সরকার গঠনের জন্য আমাদের রায় দেয়নি। দলের কিছু নেতা এমনভাবে ভূমিকা পালন করেছিলেন যা উভয় রাজ্যসভার আসনে বিজেপির জয়ের পথ প্রশস্ত করেছিল।"