Suvendu on Mukul: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা শুভেন্দুর, আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি তৃণমূলেরও
এনিয়ে মুকুল রায়ের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি...
সৌভিক মজুমদার ও আশাবুল হোসেন, কলকাতা: বিধানসভার পর কলকাতা হাইকোর্ট। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে মামলা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূলও। এনিয়ে মুকুল রায়ের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানানোর পর, এবার এনিয়ে মামলা করলেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, তা সাতদিনের মধ্যে নিতে, স্পিকারকে নির্দেশ দিক কলকাতা হাইকোর্ট।
বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জেতেন মুকুল রায়। এগারোই জুন তৃণমূলের সদর দফতরে দেখা যায় তাঁকে। ৯ জুলাই তিনি বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তাঁর মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক হিসেবে কালিম্পঙের বিধায়ক রুদেন সাদা লেপচা এবং সমর্থক হিসেবে এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুণ মাইতির নাম ছিল।
এরপর মুকুল রায়ের মন্তব্যে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ঘিরে ধন্দ তৈরি হয়। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক বলেছিলেন, বিজেপির কাছে জিজ্ঞাসা করলে বিজেপির কাছে জানতে হবে। আমাকে জিজ্ঞাসা করলে আমি জবাব দেব, অন্য রাজনৈতিক দলকে জিজ্ঞাসা করলে সে জবাব দেবে। আমাকে জিজ্ঞাসা করলে তৃণমূল বলব। বিজেপি দরকার হলে বিজেপি বলব।
এর মধ্যে, বিধানসভায় মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানান শুভেন্দু অধিকারী। তার প্রেক্ষিতে শুনানিও হয়। এই প্রেক্ষাপটে এবার এনিয়ে, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, শুনানি হলেও, তিনমাস হয়েছে। পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, অধ্যক্ষকে তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। তিন মাস পেরিয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
প্রয়োজনে আমরা উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়ে রেখেছে তৃণমূল। সব মিলিয়ে মুকুল-ইস্যুতে চাপানউতোর অব্যাহত।
আরও পড়ুন: কখনও নিজেকে বলছেন বিজেপি, কখনও তৃণমূলের পক্ষেই বক্তব্য ! মুকুল রায়ের ভূমিকায় বাড়ছে ধন্দ