Narendra Modi : হাজারো তেরঙ্গা, 'জয় হো' রব, গুজরাতে মোদির শোয়ে জনসমুদ্র, হাজির কর্নেল কুরেশির পরিবারও
Colonel Sofia Qureshi Family : মোদির রোড শোয়ে হল পুষ্পবৃষ্টি। উঠল জয়ধ্বনি। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে রয়েছেন অপারেশন সিঁদুরের অন্যতম মুখ কর্নেল কুরেশির পরিবারও ।

পহেলগাঁও হামলার পর ভারতীয় সেনার ভয়ঙ্কর প্রত্যাঘাত। পাকিস্তানকে দুরমুশ করে ভারত সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করে দিয়েছে নিজের জায়গা। সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে ভারত সরকার। সন্ত্রাসবাদ থামাতে অল-আউট অ্যাকশন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আর তারপর আজ গুজরাতে, হোমগ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর রোড শো ঘিরে উড়ল হাজার হাজার তেরঙ্গা। ব্যাকগ্রাউন্ডে বেজে উঠল 'জয় হো'।
সোমবার গুজরাতের দুদিনের সফরের শুরুতে বদোদরায় রোড শো করেছেন নরেন্দ্র মোদি। অপারেশন সিন্দুরের পর এটিই তাঁর প্রথম গুজরাত সফর। মোদির রোড শোয়ে হল পুষ্পবৃষ্টি। উঠল জয়ধ্বনি। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে রয়েছেন অপারেশন সিঁদুরের অন্যতম মুখ কর্নেল কুরেশির পরিবারও । তাঁরাও ফুল ছুড়লেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপর।
সোফিয়া কুরেশির যমজ বোন শাইনা সুনসারা এবিপি নিউজের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথাও বলেন। আপ্লুত শাইনা বলেন, "আমি নিজে একজন নারী, আমি অনুভব করতে পারি যে প্রধানমন্ত্রী মোদী নারীদের জন্য কতটা উন্নতি সাধন করেছেন। সোফিয়া কুরেশি আমার যমজ বোন। এটা খুব উৎসাহবর্ধক। এখন সোফিয়া শুধু আমার বোন নয়, এখন সে পুরো দেশের বোন।"
কর্নেল সোফিয়ার বাবা-মা কী বললেন?
অন্যদিকে, কর্নেল সোফিয়ার বাবা তাজ মহম্মদ কুরেশি বলেন, 'আমাদের কাছে প্রথমে দেশ, তারপর ধর্ম ও জাতি। তিনি আরও বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদি আমাদের চিনতে পেরেছেন। আমাদের অভিবাদনও জানিয়েছেন। । আমরাও তাঁকে সম্মানের সঙ্গে অভিবাদন জানিয়েছি।" কর্নেল কুরেশির মা হালিমা বিবিও আনন্দে আপ্লুত। তিনিও বলেন, 'আমাদের কাছে দেশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ... প্রধানমন্ত্রী মোদিজির সঙ্গে দেখা করে আমি খুব খুশি। দেশের মহিলারা .... দেশের বোনেরা 'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে খুব খুশি।"
অপারেশন সিঁদুরের সময়ই সংবাদ মাধ্যমকে ব্রিফিং দেওয়ার সময় নজরে আসেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। যদিও তাঁর কীর্তি সেনাবাহিনীর পরিধিতে বেশ চর্চিত। ভারতীয় সেনার কর্পস অফ সিগনালস বিভাগে কর্মরত কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। বয়স ৩৫। তিনি দেশের প্রথম মহিলা অফিসার হিসেবে বহুদেশীয় সামরিক মহড়ায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । এরই মধ্যে সেনাবাহিনীতে তাঁর কীর্তির শেষ নেই। তাঁর বিভাগ সামরিক যোগাযোগ সংক্রান্ত সবকিছু তত্ত্বাবধান করে। জরুরি পরিস্থিতিতে অভিযানের সময় বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে সোফিয়ার বিভাগ। কর্পস অফ সিগনালস সেনাবাহিনীর তথ্য়প্রযুক্তির দিকটি দেখভাল করে।


















