Punjab Congress President: সনিয়া গাঁধীর সিলমোহর, পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট পদে সিধু
পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রেসিডেন্ট পদে বসলেন নভজ্যোত সিং সিধু। অবিলম্বে তাঁকে পদে বসানোর নির্দেশ দিয়েছে এআইসিসি।রবিবার সরকারিভাবে প্রেস রিলিজ করে এই ঘোষণা করে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি।
চণ্ডীগড়: জল্পনাই সত্যি হল। সনিয়া গাঁধীর সবুজ সংকেত পেতেই পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রেসিডেন্ট পদে বসলেন নভজ্যোত সিং সিধু। অবিলম্বে তাঁকে পদে বসানোর নির্দেশ দিয়েছে এআইসিসি।
রবিবার সরকারিভাবে প্রেস রিলিজ করে এই ঘোষণা করে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি। বিবৃতিতে জানানো হয়, পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রেসিডেন্ট পদে সিধুকে বসানো হল। কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত অনুসারেই এই নিয়োগ করা হল। সিধু ছাড়াও পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট পদে সঙ্গত সিং গিলজিয়ান, সুখবিন্দর সিং দানি, পবন গোয়েল ও কুলজিত সিং নাগড়াকে নিয়োগ করা হল।
নতুন প্রেসিডেন্ট পদে সিধুকে নিয়োগ করলেও বিদায়ী পিসিসি প্রেসিডেন্ট সুনীল জাখরের অবদান স্বীকার করা হয়েছে এআইসিসি-র বিবৃতিতে। দলের তরফে জানানো হয়েছে বিদায়ী সভাপতির অবদানকে মূল্য দেয় দল। সিধুকে প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি এদিন ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও সিকিমের এআইসিসি ইনচার্জ পদ থকে অব্যাহতি দেওয়া হয় কুলজিত সিং নাগড়াকে।
পঞ্জাব রাজনীতির হাওয়া মোরগ বলছে, রাজ্যে ভোটের আগে ভাঙনের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না দশ জনপথনিবাসী। সেকারণে ২ ওয়ার্কিং
প্রেসিডেন্টের জায়গায় নিয়োগ করা হয়েছে চারজনকে। যাদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের বিরোধী বলেই পরিচিত সঙ্গত সিং গিলজিয়ান। তাঁর অভিযোগ, দলিতদের জন্য কিছুই করেনি অমরিন্দর সিংয়ের সরকার। যদিও সুখবিন্দর সিং দানিকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছের লোক বলেই চেনে সকলে। সূত্রের খবর, এদের মধ্যে কুলজিত সিং নাগড়া রাহুল গাঁধীর আস্থাভাজন।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নয়া মোড় নিয়েছে পঞ্জাবের রাজনীতি। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বনাম নভজ্যোত সিং সধুর লড়াইয়ে সরাসরি দু'ভাগ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। বেগতিক দেখেও মাথা ঠান্ডা রেখেছে এআইসিসি। কোনওভাবেই সিধুকে চটাতে চাননি সনিয়া গাঁধী। সেই কারণে পঞ্জাব প্রদেশের প্রেসিডেন্ট পদে বসানো হয়েছে সিধুকে।
মূলত, সিধুর বিরুদ্ধে ট্যুইট নিয়ে সরব হন ক্যাপ্টেন। সিধুর বিতর্কিত ট্যুইটের জন্য জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে বলেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে
সরব হলেও কোনও উত্তর দেননি সিধু। যাতে অপমানিত বোধ করেন ৭৯ বছরের ক্যাপ্টেন। পার্টি সূত্রে খবর, এরপরই সিধুর সঙ্গে দেখা করতে মানা করেন মুখ্যমন্ত্রী।