(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Puri Temple: ভক্তদের জন্য সুখবর, এবার থেকে পুরীর মন্দির খোলা থাকবে এই দিনগুলিতেও
Puri Temple Opening Time: মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরও শিথিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল ওড়িশা।
কলকাতা: এবার জগন্নাথ দর্শনের সময়সীমা ও দিন দুইই বাড়ল। মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরও শিথিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল ওড়িশা। সে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত বলে জানান হয়েছে। জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন (এসজেটিএ) শনিবার জানিয়েছে যে এবার থেকে রবিবারও পুরীর মন্দির খোলা রাখা হবে।
২০ মার্চ থেকেই এই নয়া সিদ্ধান্ত লাগু হবে বলে জানান হয়েছে। পুরীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাম কালেক্টর সমর্থ বর্মা বলেন, শীর্ষ সংগঠন ছাতিসা নিজগের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভক্তরা ভোরে সিংহদ্বারা (সিংহদ্বার) খোলার সময় থেকে প্রতিদিন 'পাহাড়া' (দরজা বন্ধ) পর্যন্ত জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম দর্শনের সুযোগ পাবেন। এর আগে, এসজেটিএ স্যানিটাইজেশনের স্বার্থে রবিবার জনসাধারণের জন্য মন্দির বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল, তিনি বলেছিলেন যে এখন মন্দির বন্ধ করে নয়, রাতে স্যানিটাইজেশন করা হবে।
এসজেটিএ কর্মীরা অবশ্য বলেছিলেন যে ভক্তদের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও, দর্শকদের কোভিড যথাযথ নিয়ম যেমন মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত স্যানিটাইজেশন অনুসরণ করতে হবে। শনিবার 'দোলা পূর্ণিমা'-এর আচার-অনুষ্ঠানের সময় এবং জনসাধারণের দর্শনের জন্য কোভিড নিয়ম কী রাখা হবে তাই নিয়েই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই এই নয়া সিদ্ধান্তের কথা জানান হয়।
২০২১ সালের মাঝামাঝি পুরী মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য খুলে গিয়েছিল। তারপরই জগন্নাথ ধামে পর্যটকরা ভিড় জমান। ২০২২ এর শুরুতেই ভয়ঙ্কর ভাবে আছড়ে পড়ে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তারপরই ১০ জানুয়ারি থেকে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ হয়ে যায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা। পুরীর কালেক্টর সমর্থ বর্মা এই খবর জানিয়েছিলেন। মন্দিরের তরফে জানানো হয়েছিল, করোনা সংক্রমণ প্রতিহত করতেই মন্দিরের দরজা সাময়িক বন্ধ রাখা হচ্ছে। এছাড়াও জানানো হয়, মন্দিরের সেবকদের জন্য অ্যাম্বুল্যান্স, র্য়াপিড রেসপন্স টিম, কোভিড কেয়ার সেন্টার এবং মেডিক্যাল চেক-আপের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
করোনার দাপট একটু থিতিয়ে পড়তেই ৩ মাস পর গত বছর ১২ অগাস্ট প্রথম মন্দির খোলে। ১২ থেকে ১৬ অগাস্ট শুধুমাত্র সেবক ও তাদের পরিবাররাই দর্শনের সুযোগ পান। দ্বিতীয় দফায় ১৬ থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত শুধুমাত্র পুরীর বাসিন্দাদেরই মন্দিরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এখনও পর্যন্ত রবিবার বন্ধ ছিল জগন্নাথধামের দরজা।