Rahul Gandhi Disqualification : সাংসদ পদ খারিজ রাহুলের, কবে উপনির্বাচন হতে পারে ওয়েনাডে ?
Bypoll Rule : কোনও লোকসভা বা বিধানসভার আসন ফাঁকা হলে, সেই সময় থেকে ৬ মাসের মধ্যে সেখানে নির্বাচনের করাতে হয়
নয়াদিল্লি : মানহানির মামলায় (Defamation Case) ২ বছরের কারাদণ্ডের জেরে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গেছে। ফলে, আর কেরলের (Kerala) ওয়েনাডের সাংসদ নন তিনি ! এই পরিস্থিতিতে ফাঁকা এই আসনে শীঘ্রই উপনির্বাচন হতে পারে। আগামী সেপ্টেম্বরে ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
কোনও লোকসভা বা বিধানসভার আসন ফাঁকা হলে, সেই সময় থেকে ৬ মাসের মধ্যে সেখানে নির্বাচনের করাতে হয়।রিপ্রেজেন্টেশন অফ দ্য পিপল অ্যাক্ট ২০১৫-র ১৫১এ ধারায় এমনই বলা আছে। এই ধারাতেই সাংসদ পদ থেকে সরানো হয়েছে রাহুলকে। সংশ্লিষ্ট আইনের ৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে, যে মুহূর্তে কোনও সাংসদকে ন্যূনতম ২ বছরের সাজা শোনানো হবে, সেই মুহূর্তে তাঁকে জনপ্রতিনিধি পদ থেকে সরানো যাবে।
কংগ্রেসের বড় ধাক্কা !
২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের বড় ধাক্কা ! মানহানির মামলায় ২ বছরের কারাদণ্ডের জেরে খারিজ হয়ে গেছে রাহুল গাঁধীর সাংসদ পদ ! আর কেরলের ওয়েনাডের সাংসদ নন তিনি। এই রায় কার্যকর থাকলে আপাতত ২০২৪-এর লোকসভা ভোটেও লড়তে পারবেন না রাহুল গাঁধী।
আর এই সব কিছুর নেপথ্য়ে রয়েছে চার বছর আগে, লোকসভা ভোটের সময় মোদি পদবি নিয়ে রাহুল গাঁধীর এই মন্তব্য়। সেই মন্তব্য়ের প্রেক্ষিতে রাহুলের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় রাহুল গাঁধীকে ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয় সুরাতের আদালত। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জামিনে মুক্তি দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে আপিল করার অনুমতিও দেন বিচারক। তবে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো, ২ বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)(e) অনুচ্ছেদ এবং ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাংসদ পদ খোয়াতে হল রাহুল গাঁধীকে। শুক্রবার লোকসভার সচিবালয়ের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেকথা জানানো হয়।
লোকসভা ভোটের মাত্র এক বছর আগে, খোদ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে প্রত্য়াশিতভাবেই রাজনীতি একেবারে সরগরম! শুক্রবার দেশজুড়ে প্রতিবাদে নামে কংগ্রেস। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্য়বহারের অভিযোগে সরব হয় তারা। বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী ট্য়ুইট করে বলেছেন, আপনারা পরিবারতন্ত্রের কথা বলেন। জেনে রাখুন, এই পরিবার রক্ত দিয়ে ভারতের গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে, যা আপনারা শেষ করছেন। এই পরিবার মানুষের হয়ে আওয়াজ তুলেছে এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সত্য়ের জন্য় লড়াই করেছে। আমাদের শিরায় যে রক্ত বইছে, তার একটা বিশেষত্ব আছে। আপনাদের মতো ভীতু, ক্ষমতালোভী, স্বৈরাচারীদের সামনে আমরা কখনও মাথা নত করিনি, করব না। যা ইচ্ছে করে নিন।
আরও পড়ুন ; সাংসদ পদ খারিজ হয়েছিল ইন্দিরারও, পদচ্যুতের তালিকা দীর্ঘ, নবতম সংযোজন রাহুল