নেশায় বুঁদ হয়ে ঘুম সহকারী স্টেশন মাস্টারের, থমকে দিল্লি–হাওড়া রুটের ট্রেন চলাচল
নেশায় বুঁদ হয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের কঞ্চৌসি স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার।
নয়াদিল্লি: মদ্যপানটা তাঁর প্রতিদিনের অভ্যাস। রঙিন জলে গলা না ভেজালে দিনটাই যেন বৃথা। রাতে ডিউটি থাকলেও তা ছাড়া যায় নাকি! আর চেয়ারে বসেই ঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন তিনি। আর এদিকে দাঁড়িয়ে রয়েছে একের পর এক ট্রেন। দেড় ঘণ্টা থমকে রইল দিল্লি–হাওড়া রুটের ট্রেন চলাচল। আটকে পড়া রেলের তালিকায় রয়েছে মালগাড়িও। নেশায় বুঁদ হয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের কঞ্চৌসি স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার।
ঘটনা চলতি সপ্তাহের বুধবার। সূত্রের খবর, রাত ১২টার পর দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। গ্রিন সিগন্যাল না পেয়ে একের পর এক স্টেশন সহ দুই স্টেশনের মাঝেই দাঁড়িয়ে পড়ে বৈশালী এক্সপ্রেস, সঙ্গম এক্সপ্রেস, ফরাক্কা এবং মগধ এক্সপ্রেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন। এমনকী দাঁড়িয়ে পড়ে মালগাড়িও। কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা? জানা গিয়েছে, বুধবর রাতে একের পর এক ট্রেন গ্রিন সিগন্যাল না পাওয়ার খবর পৌঁছয় রেলের শীর্ষ কর্তাদের কাছে। কিন্তু ওই সহকারী স্টেশন মাস্টার অনিরুদ্ধ কুমারকে রেলের আধিকারিকরা একাধিকবার ফোন করলও তিনি ফোন তোলেননি বলে অভিযোগ। এরপরই ওই রাতেই সহকারী স্টেশন মাস্টারের ঘরে যান রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা। সেখানে গিয়েই তাঁরা দেখতে পান ঘুমিয়ে রয়েছেন অনিরুদ্ধ কুমার।
কঞ্চৌসি স্টেশনের স্টেশন মাস্টার বিশ্বম্ভর দয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানান, সহকারী স্টেশন মাস্টার অনিরুদ্ধ কুমার মদ্যপান করে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ডিউটি চলাকালীন তিনি এই কাজ করেছেন। এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কেন এই ঘটনা ঘটল? ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে এর পাশাপাশি সহকারী স্টেশন মাস্টার অনিরুদ্ধ কুমারকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তুণ্ডলার রেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রেলের এক আধিকারিক বলেন, তাঁকে ডিউটি চলাকালীন ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। তুণ্ডলার রেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সহকারী স্টেশন মাস্টার অনিরুদ্ধ কুমারকে।