Sonam Raghuvanshi: মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে খুন হয়েছেন ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশী। এবার সেই খুনের মামলায় নতুন একটি তথ্য পেয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, একটি কালো রঙের ব্যাগের পুড়ে যাওয়া অংশ পেয়েছে পুলিশ। এই ব্যাগ সোনম রঘুবংশীর বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইন্দোর থেকেই এই কালো ব্যাগের পোড়া অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মেঘালয়ের পুলিশ এই ব্যাগের পোড়া অংশ উদ্ধার করেছে ইন্দোরের কাছাকাছি একটি খালি এলাকা থেকে। আপাতত কালো ব্যাগের এই পোড়া অংশ সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবোরেটরিতে (সিএফএসএল) পাঠানো হয়েছে। ভালভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে ওই অবশেষ। কী কী পোড়ানো হয়েছিল ওই ব্যাগের মধ্যে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এই কাণ্ডের সঙ্গে কারা যুক্ত ছিল তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
১১ মে বিয়ে হয়েছিল রাজা রঘুবংশী এবং সোনমের। তাঁরা দু'জনেই ইন্দোরের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়ের আগে থেকেই রাজ কুশওয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সোনমের। কিন্তু তারপরেও রাজার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সোনমের পরিবারের ফার্নিচার শিট ইউনিটে অ্যাকাউন্ট্যান্টের পদে কাজ করতেন রাজ। পরিবারের ব্যবসা দেখতেন সোনমও। বিয়ের পর মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন সোনম এবং রাজ। ২৩ মে নিখোঁজ হন তাঁরা। এরপর ২ জুন উদ্ধার হয় রাজা রঘুবংশীর দেহ। একটা নয়, দুটো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছিল রাজা রঘুবংশীকে। দু'টি কাটারিই উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজাকে প্রথম কাটারি নিয়ে আক্রমণ করেছিল বিশাল। তারও আগে রাজাকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছিল বিশাল। প্রবল চোট পান রাজ। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। চিৎকার করতে থাকেন তিনি। চোখের সামনে যন্ত্রণায় রাজাকে কাতরাতে দেখেও বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ করেননি সোনম। বরং ছুটে পালিয়ে গিয়েছিল।
রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে সঞ্জয় ভার্মার নাম সম্প্রতি উঠে এসেছিল পুলিশের হাতে। তবে কে এই ব্যক্তি, কী তার পরিচয় তা নিয়ে প্রথমে ধোঁয়াশা ছিল। কিন্তু এখন জানা গিয়েছে, এই সঞ্জয় ভার্মা আর কেউই নয়, রাজা রঘুবংশীর স্ত্রী সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা। ১ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল, ৩৯ দিন ধরে ২৩৪টি ফোনকল হয়েছিল সোনম এবং এই সঞ্জয় ভার্মার বিরুদ্ধে। অন্তত ৩০ মিনিট থেকে ৬০ মিনিট সময় ধরে কথা হয়েছে প্রায় প্রতিটি ফোনেই, এমনটাই খবর পুলিশ সূত্রে। বিয়ের আগে তো বটেই, পরেও এই সঞ্জয় ভার্মার সঙ্গে কথোপকথন চালু ছিল সোনমের। এর পাশাপাশি পুলিশের তরফে এও জানা গিয়েছে, সম্ভবত সন্দেহ এড়াতেই সোনম রাজের ফোন নম্বর সেভ করেছিল সঞ্জয় ভার্মা নামে। মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে প্রেমিক রাজের সঙ্গে পরিকল্পনা করেই, তিন ভাড়াটে খুনির সাহায্যে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুন করান সোনম।
























