Salman Rushdie: সঙ্কটজনক হলেও ভেন্টিলেটর থেকে সরানো হল রুশদিকে, ট্যুইট ছেলের
Writer Was Taken Off Ventilator Support: ভেন্টিলেটর-সাপোর্ট থেকে সরানো হল ম্যানবুকার জয়ী লেখক সলমন রুশদিকে। রবিবার সন্ধ্যায় এই খবরে যারপরনাই স্বস্তিতে লেখকের পরিবার।

লন্ডন: ভেন্টিলেটর-সাপোর্ট (Ventilator Support) থেকে সরানো হল (withdrawn) ম্যানবুকার জয়ী লেখক সলমন রুশদিকে (Salman Rushdie)। রবিবার সন্ধ্যায় এই খবরে যারপরনাই স্বস্তিতে লেখকের পরিবার। বিষয়টি জানিয়ে রুশদির ছেলে জাফর ট্যুইট (Tweet) করেন। বিবৃতিতে আরও লেখা, 'আঘাতগুলো অত্যন্ত গুরুতর। তা সত্ত্বেও ওঁর স্বভাবসিদ্ধ ক্ষুরধার ও আপসহীন রসিকতার ভঙ্গি অক্ষুণ্ণ।'
এখন কেমন রুশদি?
ছেলে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা অনুযায়ী, গত কাল সন্ধেবেলাতেই ভেন্টিলেটর সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বিশিষ্ট লেখকের। অতিরিক্ত অক্সিজেনও দেওয়া হচ্ছে না। এর মধ্যেই টুকটাক কথা বলছেন 'স্যাটানিক ভার্সেস'-র স্রষ্টা। তবে এখনও যে তিনি সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন, সেটাও স্পষ্ট লিখেছেন জাফর। ট্যুইটারের বিবৃতিতে বলা, 'এখনও হাসপাতালের সুবিশাল চিকিৎসা পরিষেবার মধ্যেই রয়েছেন বাবা।' এদিনের ট্যুইটে নিউ ইয়র্কের ওই দর্শকদেরও ধন্যবাদ জানান জাফর। সে দিন প্রবীণ লেখককে বাঁচাতে তাঁদের অনেকেই ছুটে আসেন, ডাক্তার ও পুলিশের সঙ্গে কঠিন সময়ে রুশদির পাশে থাকেন তাঁরাও।
কীসের আশঙ্কা?
বিশিষ্ট লেখকের এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি অবশ্য আজ সকালেই জানিয়েছিলেন, ক্রমে সুস্থ হচ্ছেন রুশদি। তবে ওয়াইলির মুখ থেকে একটি আশঙ্কার কথাও শোনা যায়। হালের এই হামলায় সম্ভবত একটি চোখ হারাতে পারেন লেখক, চোট লেগেছে তাঁর তলপেটেও। ফলে সার্বিক ভাবে তাঁর শারীরিক অবস্থা এখনও স্পষ্ট নয়। ছেলের ট্যুইটের পর অবশ্য কিছুটা স্বস্তিতে ভক্তকূল।
কেন হামলা?
গত শুক্রবার নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল বিশিষ্ট লেখকের। হঠাতই অনুষ্ঠান মঞ্চে উঠে তাঁকে ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করেন বছর চব্বিশের এক যুবক। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন রুশদি। ধরে ফেলা হয় অভিযুক্তকেও। পুলিশের দাবি, তাঁর নাম হাদি মাতার। শনিবার তাঁকে আদালতেও পেশ করা হয়। তবে খুনের অভিযোগ মানতে চাননি হাদি। একটি সূত্রে খবর, হাদি কট্টর শিয়াপন্থী। কিন্তু তার সঙ্গে এই হামলার যোগ রয়েছে কিনা তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে স্যাটানিক ভার্সেস লিখে কট্টরপন্থী ইসলাম ধর্মবিশ্বাসীদের চক্ষুশূল হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই লেখক। ১৯৮৯ সালে তাঁর মৃত্যু চেয়ে ফতোয়া জারি করেন ইরানের প্রয়াত সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা রুহোল্লা খোমেইনি। সে জন্য দীর্ঘ দিন পুলিশি ঘেরাটোপে থাকতে হত এই লেখককে। তবে গত কয়েক বছর ধরে নিশ্চিন্তে প্রকাশ্যে আসতেন।
আরও পড়ুন:স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি, কলকাতার মিষ্টিতে তেরঙ্গার ছোঁয়া






















