নির্ভয়া: দোষী অক্ষয়ের কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
বিচারপতি এনভি রমন্নার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ অক্ষয়ের আবেদন খারিজ করে দেয়।
নয়াদিল্লি: নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত অক্ষয় সিংহের দায়ের করা কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার, বিচারপতি এনভি রমন্নার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ অক্ষয়ের আবেদন খারিজ করে দেয়। পাশাপাশি, খারিজ করা হয়েছে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের রায় সংশোধনের আর্জিও। এদিন সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে জানিয়েছে, মৌখিক শুনানির আবেদন খারিজ করা হচ্ছে। মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখার আবেদনও খারিজ করা হচ্ছে। আমরা কিউরেটিভ পিটিশন ও পেশ হওয়া যাবতীয় নথি ভাল করে খতিয়ে দেখেছি। আমাদের মতে, শীর্ষ আদালতের রায়ের মধ্যে এমন কোনও অসঙ্গতি ছিল না, যাতে করে এই কিউরেটিভ পিটিশনকে গ্রাহ্য করা হবে। ফলে, সেই আর্জি খারিজ করা হল। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে এই কিউরেটিভ পিটিশন পদ্ধতি প্রবর্তন করে সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে বলা হয়, শীর্ষ আদালতের রায়ে কোনও ত্রুটি-- যার জেরে সামগ্রিক বিচারটাই ধাক্কা খাবে- থেকে থাকলে তা কিউরেটিভ পিটিশনের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব হবে। নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত হল অক্ষয়। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ২৩-বছরের প্যারামেডিক ছাত্রী নির্ভয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয় অক্ষয়, মুকেশ, পবন ও বিনয়। ২০১৩ সালে সকলকেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয় নিম্ন আদালত। ২০১৪ সালে সেই রায় বহাল রাখে দিল্লি হাইকোর্ট। ২০১৭ সালে একই রায় দেয় শীর্ষ আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতেই রিভিউ পিটিশন দাখিল করে মুকেশ, পবন ও বিনয়। ২০১৮ সালে, তা খারিজ হয়। পরে, চতুর্থ সাজাপ্রাপ্ত অক্ষয়ের আবেদনও গতবছর ডিসেম্বরে খারিজ হয়। বর্তমানে চারজনই তিহাড় জেলে বন্দি। সম্প্রতি, নিম্ন আদালত এই চারজনের ফাঁসির পরোয়ানাও জারি করেছে। আগামী শনিবার সকাল ৬টায় চারজনের একসঙ্গে ফাঁসি হওয়ার কথা। কিন্তু, একজন প্রাণভিক্ষার আবেদন করায় ফাঁসি কার্যকর হবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।