Rail Blockade: লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে সোনারপুরের পর এবার রেল অবরোধ মল্লিকপুর ও ঘুটিয়ারি শরিফেও
বিক্ষোভকারীদের দাবি, রেলের স্টাফ স্পেশালে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে দিতে হবে। না হলে দ্রুত চালু করতে হবে লোকাল ট্রেন।
সোনারপুর: একঘণ্টা পর সোনারপুরে রেল অবরোধ উঠলেও, বারুইপুর শাখার মল্লিকপুর ও ক্যানিং শাখার বেতবেড়িয়া, ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু হয়েছে। মল্লিকপুরে জিআরপি-কে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি অবরোধকারীদের। জিআরপির গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়।
এদিন লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে সোনারপুর স্টেশনে সকাল ৭টা থেকে রেল অবরোধ শুরু হয়। আটকে পড়ে আপ ক্যানিং লোকাল স্টাফ স্পেশাল। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি বেধে যায় অবরোধকারীদের। একঘণ্টা পর লাঠি উঁচিয়ে অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রেলের স্টাফ স্পেশালে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে দিতে হবে।না হলে দ্রুত চালু করতে হবে লোকাল ট্রেন।গতকালও লোকাল চালুর দাবিতে ৪ ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে সোনারপুর স্টেশনে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধে কিছু ছাড় মিললেও বন্ধ সর্ব সাধারণযাত্রীদের জন্য বাস, মেট্রো ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা। স্পেশ্যাল ট্রেনগুলিতে রেলের কর্মীরা ছাড়াও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের ওঠার অনুমতি রয়েছে।
লোকাল ট্রেন চালু নিয়ে কী ভাবনাচিন্তা করছে সরকার? রাজ্যকে চিঠি দিয়ে কিছুদিন আগেই জানতে চেয়েছিল পূর্ব রেল ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছিল, লোকাল ট্রেন চালু করার ব্যাপারে কী ভাবছে সরকার? পাশাপাশি চিঠিতে লেখা হয়েছে, স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে বাড়ছে ভিড়। করোনা আবহে ভিড় কমাতে আরও ট্রেন চালানো প্রয়োজন।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, বন্ধ হওয়ার সময় শিয়ালদা ডিভিশনে প্রতিদিন ৮৮২টি লোকাল ট্রেন চলত। এখন চলছে ১৮০টি।ফলে অফিস টাইমের ট্রেনে ভিড় বাড়ছে। উপেক্ষিত হচ্ছে করোনা বিধি।
গত বছর, ২৩ মার্চ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত, দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ ছিল ট্রেন পরিষেবা।
সংক্রমণ কমার পর গত ১১ নভেম্বরে ফের ট্র্যাকে ফেরে লোকাল ট্রেন। কিন্তু, করোনার সেকেন্ড ওয়েভে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠায় ফের ৫ মে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় সব লোকাল।
স্পেশ্যাল ট্রেনগুলি মূলত রেলের কর্মীদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হলেও পরে স্বাস্থ্য কর্মী ও ব্যাঙ্ক কর্মীদের মতো জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের যাতায়াতের সুবিধা দেওয়া হয়।
গত বছর দেশব্যাপী লকডাউন চলার সময়ও বিভিন্ন স্টেশনে স্পেশ্যাল ট্রেনগুলিতে উঠতে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল।