কৃষি দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় সরকারি কর্মী
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল কৃষি দফতরের কর্মীর বিরুদ্ধে।
![কৃষি দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় সরকারি কর্মী Allegation of giving fake appointment letter in the name of giving job in agriculture department কৃষি দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় সরকারি কর্মী](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/07/14/23e04b1744e45c0fd34f9c73c7a61a26_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
করুণাময় সিংহ, হরিশ্চন্দ্রপুর: ভুয়ো ভ্যাকসিন, ভুয়ো সিবিআইয়ের পর এবার কৃষি দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল কৃষি দফতরের কর্মীর বিরুদ্ধে। চাকরিপ্রার্থী যুবকের অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা ব্লকে কৃষি দফতরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বছর পাঁচেক আগে ৫ লক্ষ ৩৫ টাকা নেন ওই সরকারি কর্মী। পরীক্ষা করার পর জানা যায় নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। এরপর থেকে একাধিকবার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলায় টালবাহানা শুরু করেন কৃষি দফতরের ওই কর্মী। টাকা ফেরত না পেয়ে গতকাল জেলা পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই চাকরিপ্রার্থী। অভিযুক্ত সরকারি কর্মীর বাড়িতে গিয়েও দেখা মেলেনি।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা এলাকার বাসিন্দা যোগেশ দাস। ওই যুবকের অভিযোগ, কৃষি দপ্তরের কর্মী দিনেশ পরিহর কৃষি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৩৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পূর্ব মেদিনীপুরে সুতাহাটা ব্লকের চাকরি দেওয়ার জন্য ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। পরীক্ষাও দেন তিনি। এরপরই জানা যায় আসল সত্যি। ওই নিয়োগপত্র পরীক্ষা করেন যোগেশ। জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। অভিযোগ, বারবার ওই সরকারি কর্মীর কাছে গিয়ে টাকার দাবি করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কর্ণপাত করেননি। বাধ্য হয়েই তিনি আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান।
যোগেশ দাসের বাবা অতুল দাস জানান, সামান্য কয়েক বিঘা জমি ছিল তাঁদের। ছেলের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তা বিক্রি করে দেন। এরপর অভিযুক্তকে সেই টাকা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন অতুল দাস। অতুল দাস বলেন, বর্তমানে চরম অসহায় অবস্থায় মধ্যে রয়েছি। এ বিষয়ে অভিযুক্তর বাড়িতে গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানান যোগেশ দাস। ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন যোগেশ। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)