Anubrata Mondal : বোলপুরের রাইস মিলের মধ্যে সার সার এসইউভি ! আর কী আছে সেখানে ?
Anubrata Mondal Update : প্রথমেই বাধাপ্রাপ্ত হন সিবিআই গোয়েন্দারা। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বোলপুর : অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করে ফ্রিজ করা প্রায় ১৭ কোটি টাকার উৎস জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। এরই মধ্যে বোলপুরে ভোলে ব্যোম রাইস মিলে হানা দেয় সিবিআই টিম। সঙ্গে এবিপি আনন্দ।
রাইস মিলে সিবিআই
প্রথমেই 'বাধাপ্রাপ্ত' হন সিবিআই গোয়েন্দারা। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। প্রাথমিকভাবে তাঁদের ভিতরে ঢুকতেও আপত্তি করা হয়। তারপর অবশ্য হঠাতই এসে পড়ে চাবি। জানানো হয়, চাবি না থাকার জন্যই এতক্ষণ ঢুকতে দেওয়া যায়নি কেন্দ্রীয় এজেন্সি দলকে। রাইস মিলে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় প্রায়। ওই রাইস মিলে একটি শেডের মধ্যে সার সার দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক এসইউভি।
কার এই বিলাসবহুল গাড়ি ?
কার এই গাড়ি ? কেনই বা শাটার বন্ধ - এই সব প্রশ্নের সদুত্তর কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের থেকে পাওয়া যায়নি। তাঁরা বলেন, চাবি ছিল না তাঁদের কাছে। এই গাড়ি কার, তা তাঁরা জানেন না। তাঁরা এজেন্সের কর্মচারী মাত্র। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নিরাপত্তারক্ষী জানান, বৃষ্টির জল থেকে বাঁচাতেই গাড়িগুলি ভিতরে। কিন্তু সার সার দেওয়া কালো গাড়িগুলি কার, তার উত্তর মেলেনি। শাটারের নিচ দিয়ে ক্যামেরা ঢুকিয়ে দেখা গেল, গাড়িগুলি সবকটিই কালো। তাতে আছে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাজও।
রাইস মিলের মালিক কে ?
শুক্রবার সকালে এই রাইস মিলে পৌঁছে গেলে সিবিআইকে প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। তার পর রাইস মিলে ঢোকে সিবিআই টিম । ভোলে ব্যোম রাইস মিল অনুব্রত মণ্ডলের, দাবি কোনও কোনও স্থানীয়র। তবে বেশিরভাগই মুখ খুলতে চাইছেন না। জিগ্যেস করলে উত্তর আসছে, ' জানি না, বলা যাবে না '। সূত্রের খবর ২০১১ সালের আগে অবধি রাইস মিলের মালিকানা ছিল অন্য কারও হাতে। পরে তা অনুব্রত মণ্ডল কিনে নেন। এর অংশীদার হন ছবি মণ্ডল, যিনি অনুব্রত মণ্ডলের প্রয়াত স্ত্রীর। বাকি ৫০ শতাংশ মালিকানা অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার। তবে তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত - এই কথা বলে সিবিআই-এর সঙ্গে কথাই বলতে চাননি বুধবার।
এদিকে, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর আত্মীয়দের প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ফ্রিজ করার পর, এবার সিবিআইয়ের নজরে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সূত্রের দাবি, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ ১০-১২ জনের নাম উল্লেখ করে কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তিদের নামে কোন অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে? কোনও FD বা বিনিয়োগ করা হয়েছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের অনুমান, বেনামি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও গরুপাচারের কোটি কোটি টাকা থাকতে পারে।