Bengal Coronavirus News: ১৯ ঘণ্টা করোনা রোগীর দেহ আগলে বাড়িতেই বসে বৃদ্ধ বাবা, উদ্ধারে আসেনি পুরসভা
গতকাল দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ বাড়িতেই মৃত্যু হয় ওই করোনা রোগীর।
বেহালা: হাজারও নির্দেশিকায় কাজ হয়নি। করোনাকালে ফের অমানবিকতার ছবি। ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বাড়িতেই পড়ে রয়েছে করোনা রোগীর মৃতদেহ। বেহালার সখেরবাজারের বৈশালী পার্ক এলাকার ঘটনা। পরিবার সূত্রে খবর, গত বুধবার, বছর পঞ্চাশের প্রবীর চট্টোপাধ্যায় করোনা আক্রান্ত হন। তারপর থেকে তিনি হোম আইসোলেশনে ছিলেন। বাড়িতে রয়েছেন বছর ৮০-র বৃদ্ধ বাবাও।
গতকাল দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ বাড়িতেই মৃত্যু হয় ওই করোনা রোগীর। বাইরেই ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রতিবেশী এবং অন্যান্য় আত্মীয়রা। পরিবারের অভিযোগ, বিষয়টি থানায় জানালে পুরসভার হেল্প লাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে বারবার ফোন করেও সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ।
ফের থানায় যোগাযোগ করে মৃতের পরিবার এবং প্রতিবেশিরা। যদিও দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও এখনও দেহ বাড়িতেই পড়ে রয়েছে। সংক্রমণের আশঙ্কায় বাড়ছে উদ্বেগ। প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, ১৬ ঘণ্টা পর ফোনের উত্তর মিলিছে। জানানো হয়েছে কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়ি দেহ নিতে আসবে। যদিও সময় জানানি তাঁরা।
মৃতের বাবার প্রতিক্রিয়া, মৃত ছেলের মৃতদেহ আগলে বসে আছি, এর থেকে খারাপ আর কিছু হয় না। থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, পুরসভায়ও ফোন করেছি, ওরা কিছুতেই দেহ নিতে আসছে না।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছিল, ৩ ঘণ্টার মধ্য়ে মৃতদেহ সৎকার করতে হবে। দেহ সৎকারের জন্য নোডাল অফিসারও নিয়োগ করে রাজ্য। তাঁদের নাম এবং ফোন নম্বর দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তির জারির কথাও বলা হয়। পাশাপাশি এও জানানো হয় মৃতদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করবেন এই অফিসাররা এবং সব খরচ দেবে রাজ্য সরকার।
তবে সবটাই সার। সুরাহা হল না। এর আগেও একাধিক ক্ষেত্রে এই একই ছবি দেখা গিয়েছে। কখনও খাস কলকাতা শহর, আবার কখনও শহরতলীতে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা করোনা রোগীর মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর নতুন নয়। আগেও পুরসভার সৎকার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।