এক্সপ্লোর
Advertisement
ইস্যু সন্ত্রাস, সংখ্যালঘু তোষণ ও অনুপ্রবেশ, ডিসেম্বরে রাজ্যে বিজেপির প্রচারে তিন রথযাত্রা, বীরভূমে সূচনায় অমিত শাহ, সাগরে থাকতে পারেন আদিত্যনাথ, কোচবিহারে সর্বানন্দ সোনওয়াল
কলকাতা: লোকসভা ভোটের প্রচার কর্মসূচিকে তুঙ্গে নিয়ে যেতে বিজেপির ভরসা রথযাত্রা। নয়ের দশকের শুরুতে আডবাণী যেভাবে রথে চড়ে উত্তরপ্রদেশে ঝড় তুলেছিলেন, এবার বাংলার মাটিতে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চায় পদ্ম শিবির। ডিসেম্বরে রাজ্যের তিন প্রান্ত থেকে রথযাত্রা শুরু করবে তারা। তিনটি যাত্রা থেকে দেওয়া হবে তিনটি বিশেষ বার্তা। বিজেপি সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট রাজনৈতিক বার্তা দিতে তিনটি রথের উদ্বোধনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে তিনটি জায়গা এবং তিনটি মুখ।
প্রথম রথ যাত্রা শুরু করবে বীরভূম থেকে। এই রথযাত্রার উদ্বোধন করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বিজেপি সূত্রে দাবি, তাঁদের কাছে এরাজ্যে সন্ত্রাসের পীঠস্থান বীরভূম। তাই এই জায়গা থেকে রথযাত্রা শুরু করে তারা সন্ত্রাসের অবসানের বার্তা দিতে চায়। প্রেসিডেন্ট তারাপীঠে আসছেন, কথা হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।
দ্বিতীয় রথ যাত্রা শুরু করবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর থেকে। এই রথযাত্রার উদ্বোধনের জন্য যোগী আদিত্যনাথকে পাঠানোর আর্জি জানানো হয়েছে। বিজেপি সূত্রে দাবি, এই রথযাত্রা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ আরও জোরালভাবে তোলা হবে। সেজন্যই উদ্বোধনস্থল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে সাগরের মতো তীর্থভূমিকে। আর উদ্বোধক হিসেবে হিন্দুত্বের পোস্টারবয় যোগীকে।
তৃতীয় রথ থেকে দেওয়া হবে অনুপ্রবেশ বন্ধের বার্তা। বিজেপি সূত্রে দাবি, তাদের কাছে এই মুহূর্তে অনুপ্রবেশের আঁতুড়ঘর উত্তরবঙ্গ। তাই এই রথ যাত্রা শুরু করবে কোচবিহারের মদনমোহন আশ্রম থেকে। উদ্বোধনের জন্য রাজ্য বিজেপি নেতারা চান অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালকে, যাঁর রাজ্যে সম্প্রতি জাতীয় নাগরিকপঞ্জী চালু হয়েছে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, অমিত শাহ বলেছিলেন, ইচ্ছে ছিল সব ক’টা করি। কিন্তু নতুন মুখ্যমন্ত্রীদের চাই।
তৃণমূল অবশ্য বিজেপির কৌশলে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, ধর্মের ইস্যু আর এনআরসি রাজ্যের মানুষ খাবে না। ওরা সর্বানন্দ সোনওয়ালকে আনবে বার্তা দিতে। সোনওয়াল বাঙালি খেদাও আন্দোলনের নেতা। দেখলে তিক্ত স্মৃতি উস্কে উঠবে। সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ির অভিযোগ, আসলে দাঙ্গা বাধানোর জন্য রথ বের করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ধর্মনিরপেক্ষ। রুটিরুজি ছেড়ে এসব মানুষ গ্রহণ করবে না। সুযোগ পাচ্ছে, কারণ এখানে তৃণমূলের সরকার। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এ রাজ্যের মাটি অন্য মাটি, মানুষ এটা মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
জেলার
জেলার
ক্রিকেট
Advertisement