চলছিল বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা, বাসন্তীতে জলাশয় থেকে উদ্ধার তরুণীর রক্তাক্ত দেহ, খুনের অভিযোগ পরিবারের

মৃতের মাথায় গভীর ক্ষত রয়েছে। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

শান্তনু নস্কর ও হিন্দোল দে, বাসন্তী: বিয়ের পর থেকেই বনিবনা হচ্ছিল না স্বামী-স্ত্রীর। পরে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা গড়ায় আদালতে। গত তিন বছর ধরে চলছে সেই মামলা। আর তার মাঝেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল বধূর। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর কুলতলি মোড়। আজ সকালে এখানেই একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার হয়, ২৬ বছরের পল্লবী সর্দারের রক্তাক্ত মৃতদেহ। মৃতের মাথায় গভীর ক্ষত রয়েছে। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। মৃতের পরিবার জানিয়েছে, কাজ করে কলকাতা থেকে ফিরতে একটু রাতই হত এই তরুণীর। গতকাল অনেক রাতেও তিনি বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজ। অবশেষে আজ সকালে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগ, এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে তরুণীর স্বামী তাপস সর্দার। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও দায়ের করেছে পরিবার। মৃতের মা অমলা মণ্ডলের অভিযোগ, ‘স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা ছিল। ডিভোর্সের মামলা চলছিল। স্বামী ভয় দেখাত, হুমকি দিত। ওই মেরেছে।’ পুলিশ জানতে পেরেছে, সম্প্রতি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এই তরুণী। আবার ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না অভিযুক্ত স্বামীরও! বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই খুন না এর নেপথ্যে মৃতের স্বামীর হাত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।