গরু পাচারকাণ্ড: কোন সময়ে পাচার হবে তা বোঝানো হত সঙ্কেতের মাধ্যমে, চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের হাতে
বড় মাপের পাচারের আগে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় এই বৈঠক হতগরুর গায়ে কালি দিয়ে চিহ্নিত করে বোঝানো হত কত টাকায় রফা হয়েছেএক-একটি পাচারের জন্য আনুমানিক ৩৫-৪০ লক্ষ টাকায় রফা হত
কলকাতা: গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পাচারের আগে বিএসএফ কর্তাদের একাংশের সঙ্গে গোপন বৈঠক হত গরু পাচারকারীদের। এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বড় মাপের পাচারের আগে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় এই বৈঠক হত। কোন সময় পাচার হবে তা বোঝানো হত সঙ্কেতের মাধ্যমে।
এক-একটি পাচারের জন্য ৩৫-৪০ লক্ষ টাকায় রফা হত। পাচারের সময় গরুর গায়ে কালি দিয়ে চিহ্নিত করে বোঝানো হত কত টাকায় রফা হয়েছে। খবর সিবিআই সূত্রে।
অন্যদিকে, গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারকে আজ আসানসোল আদালতে তোলা হবে। ধৃত বিএসএফ কর্তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, গতকাল নিজাম প্যালেসে ৭ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গরুপাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হন বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার। গরু পাচার মামলায় তিনিই প্রথম গ্রেফতার হলেন।
সিবিআই জানিয়েছে, ২০১৭ সালে মুর্শিদাবাদে কর্মরত থাকার সময় গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুল শেখের সঙ্গে যোগ ছিল সতীশ কুমারের। সম্প্রতি তাঁর সল্টলেকের বাড়ি সিল করে দেয় সিবিআই। মঙ্গলবার সিবিআই দফতরে আসেন সতীশ।
সিবিআই সূত্রে দাবি, একাধিক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছিলেন বিএসএফ অফিসার। তদন্তে সহযোগিতা না করায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।