নবম শ্রেণির ছাত্রীকে লাগাতার ‘গণধর্ষণ’, ‘হুমকি’ দুই দাদা, জামাইবাবু, পিসেমশাইয়ের
পূর্ব বর্ধমান: ঘরের লোকের হাতেই ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার নবম শ্রেণির ছাত্রী। তাঁকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই দাদা, জামাইবাবু ও পিসেমশাইয়ের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানা এলাকার দাঁইহাটে। নির্যাতিত ছাত্রীর অভিযোগ, ২০১৪ সালে মা মারা যাওয়ার পর সে দক্ষিণেশ্বরে পিসির বাড়িতে যায়। অভিযোগ, সেখানে এক পিসতুতো দাদা ও পিসেমশাই তাঁকে গণধর্ষণ করে। রক্ষা পেতে সেখান থেকে পালিয়ে দিদির বাড়িতে এলে, সেখানেও এক দাদা ও জামাইবাবু তাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নির্যাতিত ছাত্রীর দাবি, পরিবারের সদস্যদের এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালে তাঁরা অভিযোগ জানাতে নিষেধ করেন। এমনকী অভিযোগ জানালে তাকে বাড়িছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এক বন্ধুকে বলে তার সঙ্গে পালায় ছাত্রী। পূর্ব বর্ধমানের জেলা চাইল্ড লাইন উদ্ধার করে তার কাছ থেকে জানতে পারে। চাইল্ড লাইনের সহায়তায় কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিত ছাত্রী। অভিযুক্ত এক দাদা ও পিসেমশাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরেক দাদা ও জামাইবাবু এখনও পলাতক।