নিয়োগ তালিকায় নেই নাম, মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা যুবকের, দাবি পরিবারের
পরিবারের দাবি, চাকরি না পাওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, শীতলকুচি: আশা ছিল স্কুল শিক্ষক হবেন। সমাজ গড়ার কারিগর হিসেবে পরিচিতি হবে। পরিবারের দাবি, তাই শুধু পরীক্ষা দেওয়াই নয়, এক আত্মীয়কে টাকা পর্যন্ত দিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু মেধাতালিকায় নাম নেই। পরিবারের দাবি, চাকরি না পাওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। ঘটনা কোচবিহারের শীতলকুচি ব্লকের পাঠানটুলি গ্রামের। মৃত যুবকের নাম কৈলাস বর্মন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শীতলকুচি থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষকতা করাটাই ছিল একমাত্র লক্ষ্য। আর সেদিকে লক্ষ্য স্থির রেখে এমএ পড়েছিলেন। পরে বিএড করেছিলেন তিনি। দিয়েছিলেন পরীক্ষাও। পরিবারের সদস্যদের দাবি, চাকরি পাওয়ার আশায় তাঁর এক আত্মীয়কে ছয় লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কৈলাস। চলতি সপ্তাহের সোমবার নিয়োগের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। অভিযোগ, তাতে নাম নেই কৈলাস বর্মনের। ওই যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য ভাইরা কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। ইচ্ছা ছিল চাকরি করবার। আর তাই বাড়ি ভাড়া নিয়ে অন্য জায়গায় থাকতে শুরু করেন। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার তালিকা প্রকাশের পরই চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি পরিবারের। আজ, রবিবার সকালে বাড়ির সামান্য দূরত্বে পাট খেতের পাশে গাছ থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় যুবকের। ওই যুবকের পরিবারের দাবি, তালিকায় নাম না থাকার জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কৈলাস।
ওই যুবকের বাবা প্রফুল্ল চন্দ্র বর্মন বলেন, “টাকা ছাড়া চাকরি হয় না। চাকরি পাওয়ার আশায় এক আত্মীয়কে প্রায় ছয় লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু ছেলে চাকরি পায়নি।" পরিবার সূত্রে খবর, ওই আত্মীয় থাকেন কলকাতায়। মৃত যুবকের বাবা আক্ষেপের সুরে বলেন, "চাকরি না পাওয়ার জন্যই মানসিক অবসাদে ভুগছিল ছেলে। আমাদের ধারণা এই কারণে হয়ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।“ এলাকায় বরাবরই মেধাবি ছাত্র বলে পরিচিত কৈলাস বর্মন। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শীতলকুচি থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য দেহ মাথাভাঙা মর্গে পাঠানো হয়। কী কারণে এই মৃত্যু তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।