East Burdwan: পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, মাধবডিহি ও মেমারি থানা এলাকায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু ৩ জনের
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, মাধবডিহি ও মেমারি থানা এলাকায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল মোট ৩ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় ৭ জন। রাজ্যে বিভিন্ন জায়গা এই নিয়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: রাজ্যে ফের বজ্রাঘাতে মৃত্যু। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানে। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, মাধবডিহি ও মেমারি থানা এলাকায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল মোট ৩ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় ৭ জন। রাজ্যে বিভিন্ন জায়গা এই নিয়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে মাধবডিহি থানা এলাকায় আরুই পঞ্চায়েতের নিলুট গ্রামে ৩ জন মহিলা মাঠে আমন ধান রোপনের কাজ করছিলেন। সেই সময়ই বজ্রপাত ঘটে। তাতে শুকুরমণি সোরেন (২৪) নামে এক মহির মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি জামালপুর থানার শম্ভুপুর গ্রামে। বজ্রপাতে জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২ জন। তাঁদের বাড়ি নিলুট গ্রামে।
অন্যদিকে, এদিনই আউশগ্রামের বিল্বগ্রামেও মাঠে আমন ধানের চারা রোপণের কাজ করার সময় বজ্রপাতে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ৫ জন। মৃতের নাম বনমালী ধারা (৬০)। গুরুতর জখম ৫ জন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের সকলের বাড়ি বিল্বগ্রামেই। এদিকে মেমারির কাশিয়াড়া গ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। মৃতের নাম কালিরাম হাঁসদা (৩৫)। বাড়ি মেমারির সাহানগর গ্রামে। এদিন রাজমিস্ত্রীর জোগাড়ের কাজ করছিলেন কাশিয়াড়া গ্রামে। সেই সময় বাজ পড়ে মৃত্যু ঘটে তাঁর।
এর আগে বজ্রপাতে মারা গিয়েছিলেন হুগলির সিঙ্গুরের নসিবপুরের বাসিন্দা সুস্মিতা কোলে। ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনা। এর মধ্যে হুগলিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুর্শিদাবাদে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে মারা গেছেন ৪ জন। বাঁকুড়ায় বজ্রাঘাতে মৃত ২।
এর আগে রানাঘাটে বজ্রাঘাতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গুরুতর জখম অবস্থায় দুই জন রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রানাঘাট থানার শিবপুর ভাগীরথীর ঘাটে স্নান করতে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে এক জনের মৃত্যু হয়। রানাঘাটের কায়েত পাড়ায় বাড়ির সামনে এক যুবকের বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে।