উচ্চ প্রাথমিকে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা: হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের ধাক্কা। উচ্চ প্রাথমিকে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ। অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করেছিল রাজ্য। নিয়ম মেনে তালিকা প্রকাশ হয়নি বলে অভিযোগ করে মামলা দায়ের হয়েছিল। আগামী শুক্রবার বা আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। পুজোর আগে ও পরে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করা হয়েছে। আর এই আবহে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, যে তালিকা প্রকাশ পেয়েছে তাতে যোগ্যদের নাম নেই।
কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয় আপার প্রাইমারি স্তরে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউর তালিকা। কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা ছাড়া ২০১৬-র উচ্চ প্রাথমিকের শূন্যপদে ১৪ হাজার ৩৩৯ শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশিত হয়। উল্লেখ্য,মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, পুজোর আগেই উচ্চ প্রাথমিক ও প্রাথমিকে সাড়ে ২৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। পুজোর পরে প্রাথমিকে নিয়োগ করা হবে আরও সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষক। মোট ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পুজোর আগে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এই সময়ের মধ্যে প্রাথমিকে নিয়োগ হবে সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষক। পুজোর পর থেকে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত, প্রাথমিকে আরও সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যও শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মেধাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। কোনও লবি করার প্রয়োজন নেই। কোর্ট কেস ছিল বলে এতদিন আটকে ছিল।
গত ২১ জুন উচ্চ প্রাথমিকে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করেছিল রাজ্য। নিয়ম মেনে তালিকা প্রকাশ হয়নি বলে অভিযোগ করে মামলা দায়ের করা হয়। তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগ, এসএসসি-র নিয়মভঙ্গের অভিযোগে মাময়া দায়ের করেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তালিকা তৈরিতে স্বজনপোষণেরও অভিযোগ তোলেন চাকরিপ্রার্থীরা। শুধু তাই নয়, কম নম্বর পেয়েও তালিকায় জায়গা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। আর সেই মামলার শুনানিতে উচ্চ প্রাথমিকে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।