Jalpaiguri: লোকালয়ে দাঁতালের হানা, আতঙ্কে গ্রামবাসী
আবারও জনবসতিতে দাঁতালের তাণ্ডব। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। ফের খাবারের খোঁজেই লোকালয়ে দাঁতালের হানা বলে খবর। সদর ব্লকের বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রংধামালি নতুন বস্তি এলাকার ঘটনা।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: আবারও জনবসতিতে দাঁতালের তাণ্ডব। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। ফের খাবারের খোঁজেই লোকালয়ে দাঁতালের হানা। সদর ব্লকের বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রংধামালি নতুন বস্তি এলাকার ঘটনা। সেখানে গতকাল শুরু হয় হাতির তাণ্ডব। মোট চারটি দাঁতাল সকালে গ্রামে ঢুকে পড়ে এবং একাধিক বাড়ি, ঘর, গাছ ভেঙে ও উপড়ে ফেলে। স্বভাবতই তাদের তাণ্ডবে এলাকাজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গল থেকে ওই চারটি হাতি গ্রামে ঢুকে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের আরও বক্তব্য, মূলত খাবারের সন্ধানেই হাতিগুলি জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে।
শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা আচমকা দেখতে পান যে গ্রামে চারটি হাতি ঢুকে পড়েছে। তারা গ্রামে ঢুকতেই সাধারণ মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন হাতি দেখার জন্য। এমনকী আশেপাশের গ্রাম থেকেও লোকজন এই গ্রামে এসে হাতি দেখার জন্য ভিড় জমান। এত সংখ্যক মানুষের ভিড় দেখে এরপর হাতিগুলি গ্রামের মধ্যেই ছোটাছুটি শুরু করে, ভাঙচুর করতে থাকে। হাতির আচমকা হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামের একাধিক বাড়ি। শুধু তাই নয়, ক্ষতি হয়েছে খেতের প্রচুর পরিমাণ ফসলেরও।
এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন বন দফতরের আধিকারিকরা। হাতিগুলিকে লোকালয় থেকে বের করে তাদের নিজেদের জায়গায়, জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা চালান তাঁরা।
উল্লেখ্য, হাতির হানা অব্যাহত বাঁকুড়াতেও। সেখানে দলছুট এক দাঁতালের আক্রমণে তছনছ হয়ে যায় বেলিয়াতোড়ের ধনী পাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। রাতের অন্ধকারে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হানা দেয় হাতিটি। সেখানের দরজা ভেঙে মজুত রাখা চাল, ডালসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী খেয়ে ও নষ্ট করে হাতিটি। দাঁতালের তাণ্ডবে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
দিনকয়েক আগেই মেদিনীপুরেও হাতির তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। মাঝরাতে খাবারের খোঁজে হাতি হানা দেয় লোকালয়ে। মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়িগুড়িপালে রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে ৬টি বাড়ি ভেঙে ফেলে হাতির দল। পা দিয়ে নষ্ট করে ধানের বীজতলা। সকালে বনকর্মীরা শালবনির জঙ্গলে তাড়িয়ে দেন হাতিগুলিকে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে বন দফতর।