JDP Rail Agitation: রেল অবরোধে ভোগান্তি সরকারি পরীক্ষার্থীদের, ‘ফের পরীক্ষার ব্যবস্থা’, আশ্বাস পিএসসি-র
অন্য ধর্মের মতো সারনা ধর্মকেও কেন্দ্রীয় সরকার যাতে বৈধতা দেয়, সেই দাবিতে উত্তরবঙ্গ ও পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায় ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির ডাকে চলে রেল অবরোধ...
শিলিগুড়ি: রবিবার ছিল PSC-র ক্লার্কশিপ পদে নিয়োগের পরীক্ষা। পরীক্ষাস্থলে পৌঁছতে দূর-দূরান্ত থেকে ট্রেন ধরেছিলেন পরীক্ষার্থীরা।
কিন্তু, ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির ডাকে রেল অবরোধের জেরে বিভিন্ন জায়গায় থমকে যায় ট্রেনের চাকা। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন অসংখ্য পরীক্ষার্থীরা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষার সেন্টারে পৌঁছতে পারেননি বহু পিএসসি পরীক্ষার্থী। দেওয়া হয়নি পরীক্ষা দেওয়া।
যেমন, শিলিগুড়ির একাধিক সেন্টারে পরীক্ষার সিট পড়ে মালদা, দুই দিনাজপুরের পরীক্ষার্থীদের। কিন্তু, অবরোধের জেরে মাঝপথে ট্রেন আটকে পড়ায়, পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি তাঁরা। চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন পরীক্ষার্থীরা।
এরপর রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে ট্যুইটে জানানো হয়েছে, অপ্রত্যাশিত রেল অবরোধের জন্য শিলিগুড়িতে যাঁরা রবিবারের ক্লার্কশিপ পার্ট টু-র পরীক্ষা দিতে পারেননি, তাঁদের দ্বিতীয়বার সুযোগ দিতে পিএসসির কাছে অনুরোধ জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যাঁরা সুযোগ হারিয়েছেন, তাঁদের ফের সুযোগ দিতে পিএসসি সম্মতি জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, অন্য ধর্মের মতো সারনা ধর্মকেও কেন্দ্রীয় সরকার যাতে বৈধতা দেয়, সেই দাবিতে উত্তরবঙ্গ ও পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায় ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির ডাকে চলে রেল অবরোধ।
যার জেলে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা। চূড়ান্ত হয়রানি যাত্রীদের। সড়ক অবরোধের ফলে গাড়িতেও আটকে পড়েন বহু সাধারণ মানুষ। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত দুর্ভোগ। রবিবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ মালদার আদিনা স্টেশনে রেল অবরোধ করেন আদিবাসীরা।
উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা স্টেশনে সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় রেল অবরোধ। আটকে পড়ে একের পর এক দূরপাল্লার ট্রেন। আলুয়াবাড়িতে আটকে পড়ে শিয়ালদা-আগরতলা ফেস্টিভ্যাল স্পেশাল। চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় ট্রেনযাত্রীদের।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরেও পথ অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। ত্রিমাথা মোড়ে পথ অবরোধ করেন প্রায় চার-পাঁচশো আদিবাসী।
বাঁকুড়ার ঝাঁটিপাহাড়ি স্টেশন, পুরুলিয়ার কাটারি স্টেশনেও রেল অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। অবরোধ করা হয় পুরুলিয়া-জামশেদপুর জাতীয় সড়ক।
ঝাড়গ্রামেও পড়ে আন্দোলনের প্রভাব। খেমাশুলিতে পথ অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। বনধের জেরে, বিহারের আজিমগঞ্জে আটকে পড়ে দার্জিলিং মেল। কিষাণগঞ্জে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে অবধ-অসম এক্সপ্রেস।
শিলিগুড়ির জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে, রেল অবরোধের জেরে, আটকে পড়েন, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। তাঁকে বিহারের আজমনগর স্টেশনে নামিয়ে এসকর্ট করে শিলিগুড়ির সভাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ।