Malda: নির্মাণের ৬ মাসের মধ্যে ধস হরিশচন্দ্রপুরের কংক্রিটের রাস্তায়, তৃণমূলের দিকে অভিযোগ
মহেন্দ্রপুরে বিরাট জলাশয়ের পাশে বাঁধের মত উঁচু জায়গায় ঢালাই রাস্তা করার বরাত দেওয়া হয়। গত ছয় মাস আগেই সেই রাস্তা তৈরি হয়। লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ৭০ মিটার রাস্তা তৈরি হয়।
অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: ছয় মাসও পার হয়নি। ভেঙে পড়ল কংক্রিটের ঢালাই রাস্তা। লক্ষাধিক লক্ষ টাকা খরচ করে নির্মিত ৭০ মিটার রাস্তার অর্ধেক অংশই ধসে পড়ল। বাকি অংশ জুড়েও তৈরি হয়েছে বড় বড় ফাটল। মঙ্গলবার সকালে ঘটেছে এই ঘটনা। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্ৰামে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন যুব তৃণমূল নেতা। নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে কংগ্ৰেস। এই ঘটনায় ঠিকাদার স্বংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন বিডিও।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ এই রাস্তা নির্মাণের ঠিকাদারি পেয়েছিলেন তৃনমুল যুব নেতার ভাই। মহেন্দ্রপুরে বিরাট জলাশয়ের পাশে বাঁধের মত উঁচু জায়গায় ঢালাই রাস্তা করার বরাত দেওয়া হয়। গত ছয় মাস আগেই সেই রাস্তা তৈরি হয়। লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ৭০ মিটার রাস্তা তৈরি হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ফাটল দেখা দেয়। আচমকা রাস্তার অর্ধেক অংশই ধসে পড়ে। বাকি অংশেও দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। যে কোনও মুহূর্তে বাকি অংশও ভেঙে যেতে পারে। সম্ভাবনা রয়েছে বড় দুর্ঘটনার। তাই এই পথ দিয়ে যাতায়াত প্রায় বন্ধ।
এদিকে নব নির্মিত রাস্তা এভাবে ধসে যাওয়ার পরেই এলাকায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে যুব তৃণমূল নেতা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। জনতা প্রায় মারমুখী হয়ে পড়ে। হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এমনকী স্থানীয়দের ওই যুব তৃণমূল নেতা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতেও দেখা যায়। স্থানীয়দের হুমকিও দেওয়া হয় দেখে নেওয়ার। দলীয় অন্যন্য নেতারা ছুটে এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়।
এদিকে খুব গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা। হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হলে এই রাস্তা ধরেই যেতে হয় বহু মানুষকে। সেই রাস্তার এমন অবস্থা হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। ক্ষুব্ধ ব্লক প্রশাসনও সদ্য নির্মিত রাস্তার এমন বেহাল দশা দেখে। এরমধ্যেই ঠিকাদার স্বংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতার দাবি পঞ্চায়েত, ঠিকাদার সবাই ভাল কাজ করেছে, তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য এগুলো কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র, পালটা তীব্র কটাক্ষ কংগ্রেসের প্রতিবাদ করলেই তৃণমূলের উন্নয়ন বাহিনীর কাছে স্থানীয়দের মার খেতে হবে খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার।