Malda: হরিশ্চন্দ্রপুরে রাস্তার গার্ডওয়াল নির্মাণে লক্ষ লক্ষ টাকা 'দুর্নীতি', তদন্তের নির্দেশ জেলাশাসকের
ফুলহার নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যা আটকাতে তৈরি হচ্ছে ৩৯টি গার্ড ওয়াল...
করুণাময় সিংহ, হরিশ্চন্দ্রপুর: মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ১০০ দিনের প্রকল্পে রাস্তার গার্ডওয়াল নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ। লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।
বন্যা কবলিত এলাকা বলেই পরিচিত হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ভাকুরিয়া গ্রাম। তাই রাস্তার পাশে গার্ডওয়াল নির্মাণ করার জন্য বরাদ্দ হয়েছে টাকা।
ফুলহার নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যা আটকাতে তৈরি হচ্ছে ৩৯টি গার্ড ওয়াল। নির্মাণ কাজের বরাদ্দ হয়েছে কোটি টাকার বেশি। বাঁশ এবং বালির বস্তা দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে গার্ডওয়াল।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই নির্মাণের দুর্নীতি করেছে পঞ্চায়েত প্রধান। একেকটি গার্ডওয়াল নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয়েছে তিন লক্ষেরও বেশি টাকা। কিন্তু বেশিরভাগ টাকা আত্মসাৎ করেছে পঞ্চায়েত। ১১টি গার্ড ওয়াল তৈরির ক্ষেত্রে টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
বিডিও-র কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। গ্রামবাসীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদার জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র।
দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে নারাজ পঞ্চায়েত প্রধান সুষমা মণ্ডল। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, কেউ দুর্নীতি করলে দল পাশে দাঁড়াবে না। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা বলেছেন, প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। দলগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব বিজেপি। দলের নেতা সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ইসলামপুর কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। রাজ্যজুড়ে দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে, গতকাল মালদার চাঁচলে ১০০ দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ করে ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে জমা করার অভিযোগ ওঠে কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিডিও-র দ্বারস্থ হন উপভোক্তাদের একাংশ।
তাঁদের অভিযোগ, মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্যা খাল সংস্কারের ১২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ওই টাকা মৃত ব্যক্তি ও কংগ্রেস সদস্যার ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে বলে অভিযোগ।
অভিযুক্ত সদস্যার দাবি, তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। এনিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, দলীয় সদস্যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হলে দল পাশে দাঁড়াবে না।