Asansol: আসানসোলের সালানপুরে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু
পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল বিকেলে দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় ওই ছাত্রী।
কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল: আসানসোলের সালানপুরে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু। ইসিএলের খোলা মুখ খনি থেকে উদ্ধার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর দেহ। পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল বিকেলে দোকানে যাওয়ার কথা বলে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় ওই ছাত্রী। রাতে না ফেরায় শুরু হয় খোঁজ। আজ সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ইসিএলের ডাবর খোলা মুখ খনি থেকে ১৮ বছরের তরুণীর দেহ। সাইকেলের খোঁজ মেলেনি। দুর্ঘটনা, নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু, খতিয়ে দেখছে সালানপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম ঊষা বাউড়ি। স্থানীয় একটি স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত সে। মৃত ছাত্রীর বাবা বরুণ বাউড়ি বলেন, কীভাবে হল বুঝতে পারছি না। ছাত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে দোকানে যাওয়ার কথা বলে, সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় ঊষা। দীর্ঘক্ষণ পরেও বাড়ি না ফেরায়, শুরু হয় খোঁজ। মৃত ছাত্রীর প্রতিবেশী করুণা বাউড়ি বলেন, ফেন্সিং না থাকা ও নিরাপত্তারক্ষী না থাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আসানসোলের সালানপুর থানার ই সি এল এর ডাবর খোলামুখ খনি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল বিকেলে আলকুশা গ্রামের ওই ছাত্রী দোকনে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বের হয়।সারা রাত তাঁর খোঁজ করা হলেও মেলেনি সন্ধান। এরপর আজ শুক্রবার সকালে খনিকর্মীরা দেহটি দেখতে পান। তাঁরাই খনির নিরাপত্তা রক্ষীদের খবর দেন। ছাত্রীটির বাবাও ওই খনিরই কর্মী। তিনিও ছুটে আসেন। সালানপুর থানার পুলিশ, সি আই এস এফ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
এনিয়ে ইসিএলের সালানপুর এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, পরিত্যক্ত খনি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ২০ বছর আগে ওই খনিটি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সেটি এখন আর ECL’র অধীনে নেই। ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হলেও, সাইকেলটি পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনা, নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।