Lovely Moitra on covid19 মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করে কোভিড সচেতনতার প্রচার লাভলি মৈত্রর
ভয়ঙ্কর সঙ্কটের পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন জনপ্রতিনিধিরা
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দেশজুড়ে মৃত্যু মিছিল, বেলাগাম করোনা সংক্রমণ। হাসপাতালে ঘুরেও মিলছে না বেড। অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। এই ভয়ঙ্কর সঙ্কটের পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন জনপ্রতিনিধিরা।
অভিনয় থেকে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন লাভলি মৈত্র। তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে সোনারপুর-দক্ষিণ বিধানসভা আসনে জয়ী হয়েছেন।
মঙ্গলবার সোনারপুরে মোড়ে কোভিড সচেতনতার প্রচার করেন লাভলি। বারুইপুর জেলা পুলিশ ও সোনারপুর থানার সহযোগিতায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করেন সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক। বললেন, মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। মাস্ক পড়ে রাস্তায় বেরোন। দূরত্ব বিধি মানুন।
তৃণমূলের আর এক বিধায়ক অলোক জলদাতা। রায়দিঘি থেকে প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার রায়দিঘি ও মথুরাপুর দুটি গ্রামীণ হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দিলেন রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক।
এদিন সকালে নিজে দেওয়াল লিখে সচেতনতার বার্তাও দিলেন অলোক জলদাতা। বললেন, রায়দিঘি ও মথুরাপুর দুটি গ্রামীণ হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দেওয়া হয়েছে। ক্সিজেন সেন্টার ও দুটি অক্সিজেন মোবাইল ভ্যান চালু হবে।
কলকাতা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর অনিন্দ্য রাউত। করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে নিজেই ৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ভাড়া নিয়েছেন।
মঙ্গলবার উল্টোডাঙা রোডের বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজন দেখা দেয়। সেই সমস্যার কথা জানানো হয় ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটরকে।
সমস্যা শোনার পর অনুগামীদের সঙ্গে বাইকে করে সিলিন্ডার নিয়ে সকাল সকাল পৌঁছে যান অনিন্দ্য রাউত। বললেন, অক্সিজেনের সমস্যা ছিল, কোঅর্ডিনেটরকে জানানোর পর এসে অক্সিজেন দিয়ে যান।
উল্টোডাঙারই করোনা আক্রান্ত দাস দম্পতির কয়েকদিন আগে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, তাঁদেরও অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে। সেখানেও কোঅর্ডিনেটর নিজে গিয়ে অক্সিজেন পৌঁছে দেন। বলেন, অক্সিজেনের সমস্যা শোনার পর কোঅর্ডিনেটর অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। এর ফলে আমার প্রাণ ফিরে পাই। এখন অনেকটাই সুস্থ আমরা।
করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের অভাবে অনেকের মৃত্যু ঘটছে। কোঅর্ডিনেটর সিলিন্ডার পৌঁছে দিচ্ছেন অনিন্দ্য। তৃণমূল নেতা বললেন, ৬টি সিলিন্ডার নিয়ে মানুষকে বাচানোর চেষ্টা চালাচ্ছি। অনেকে প্রয়োজন সেখানে অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছি।