North 24 Parganas: হ্যাম রেডিওর সহায়তায় হারানো মূক-বধির শিশুকে ফিরে পেল বিহারের পরিবার
হ্যাম রেডিও সংস্থা মূক ও বধির শিশুটির খোঁজ পায় হিঙ্গলগঞ্জে
সমীরণ পাল, বারাসাত: ভিন রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া মূক-বধির শিশুকে হ্যাম রেডিওর সহায়তায় ফিরে পেল পরিবার। ছেলেকে ফিরিয়ে নিতে এসে হয়রানির শিকার হয়েও অবশেষে বারাসাত কিশালয় হোম থেকে ছেলেকে নিয়ে গেল পরিবার।
চলতি বছরের ২ জুন মাসের বিহারের পটনার বাসিন্দা ১০ বছরের মূক ও বধির শিশু নীরজ কুমার ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
পথ হারিয়ে ভুল করে রাজ্যের গণ্ডী টপকে বিহার থেকে বঙ্গে এসে পড়েছিল শিশুটি। হাতে ২১ হাজার টাকা থাকলেও মূক ও বধির হওয়ায় বাড়ির খোঁজ দিতে পারছিল না।
দিকভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ানো এক বালককে দেখতে পেয়ে প্রথমে হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে কৌতুহল তৈরি হয়।
তার কাছে ৫০০ টাকা নোটে মোট ২১ হাজার টাকা থাকায় কিছুটা সন্দেহও দানা বাঁধে। বালকটিতে তার নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করে কোনও তথ্য না মেলায় স্থানীয়রা যোগাযোগ করেন হিঙ্গলগঞ্জ থানায়।
বালকটির ছবি ও তথ্য দিয়ে যোগাযোগের পর হ্যাম রেডিওর তরফে চালানো হয় অনুসন্ধান। তারাই শেষমেশ বালকের পাটনার পাথরহাটায় বাড়ির সন্ধান খুঁজে বের করে।
পটনা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় হিঙ্গলগঞ্জ থানার তরফে। এরপর তড়িঘড়ি পটনা থেকে পরিবারের লোকজন শিশুটিকে ফিরিয়ে নিতে হিঙ্গলগঞ্জ থানায় যায়।
সেখানে তাঁদের জানানো হয়, স্থানীয় পঞ্চায়েত স্তরে উপযুক্ত প্রমাণ ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র ইমেল মারফৎ জেলা বারাসাত কিশলয় হোমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।
পরিবারের লোকজন পটনায় ফিরে যায় এবং উপযুক্ত প্রমাণ সহকারে ইমেল মারফৎ বারাসাত কিশালয় হোম কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়।
সোমবার সেইমতো শিশুটির পরিবার সকাল ৬ টার সময় হাজির হয় বারাসাত কিশলয় হোমে। দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা পর অবশেষে শিশুটিকে ফিরে পায় পরিবার।
সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ বারাসাত কিশালয় হোম কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয় পরিবার হাতে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবশেষে ঘরের ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি মূক ও বধির শিশুর পিতা।
এ বিষয়ে ওয়েস্টবেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরিশ নাগ বিশ্বাস জানান, প্রথমে তাঁরা থানায় যোগাযোগ করেন। তার পরে পরিবারের সদস্যদের চিহ্নিত করা হয়। আজ বারাসাতের কিশালয় হোম থেকে পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে নিয়ে যায় বাড়ি।