Suvendu on Mukul: মুকুলের বিধায়কপদ খারিজের আর্জির প্রথম শুনানিতে শুভেন্দু, আদালতে যাওয়ার ভাবনা বিজেপির
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে প্রথম শুনানিতে স্পিকারের ঘরে উপস্থিত হলেন শুভেন্দু অধিকারী।বেরিয়ে এলেন সাড়ে ৪ মিনিটের মধ্যেই
আশাবুল হোসেন ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে বিধানসভায় শুনানি হল। অংশ নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।পরবর্তী শুনানি ৩০ জুলাই। এই ইস্যুতে হাইকোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি বিজেপির। খবর সূত্রের।
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে প্রথম শুনানিতে স্পিকারের ঘরে উপস্থিত হলেন শুভেন্দু অধিকারী।বেরিয়ে এলেন সাড়ে ৪ মিনিটের মধ্যেই।তারপরই জানালেন, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করার দাবিতে আদালতেও যাবে বিজেপি। যা নিয়ে অবশ্য বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাতে রাজি নন মুকুল। তিনি বলেছেন, যাক না, যেখানে যাওয়ার সেখানে যাক।
বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছেন মুকুল রায়। কিন্তু, তারপর থেকেই তাঁর অবস্থান থেকে ঘিরে বিতর্ক।বিজেপির বক্তব্য, যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি তৃণমূল ভবনে যোগ দিয়েছেন,যিনি বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সভাপতির হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়েছেন, তাঁর দল ছাড়ার ঘটনা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। তৃণমূলের সমর্থনে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন, তাঁর বিধায়ক পদ অবিলম্বে দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী খারিজ করা হোক।
শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবির প্রেক্ষিতেই শুক্রবার শুনানি ছিল।মাত্র সাড়ে চার মিনিট স্পিকারের ঘরে ছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেখান থেকে বেরিয়েই তৃণমূলের সমালোচনা করে আদালতে যাওয়ার কথা জানান তিনি। বিরোধী দলনেতা বলেছেন, দলবদলের ঘটনা গত ১০ বছরে ৫০টা ঘটেছে। সারা দেশে যেমন আর কোথাও ভুয়ো টিকা পাওয়া যায় না, তেমনই পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা হয় না। স্পিকার এই বিষয়ের শুনানিতে যতবার ডাকবেন, ততবার আসব। কিন্তু আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই মনে হচ্ছে, এ ভাবে নিষ্পত্তি হয় না। পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলছি, তৃণমূলের পরিচালিত ব্যবস্থার উপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। আমরা বিজেপি-র পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নেব। তথ্য প্রমাণ জমা দেব। এই ধরনের ঘটনার দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। নির্দিষ্ট সময়ে যাতে শুনানি শেষ হয়, তার জন্য আবেদন করব।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্পিকার নেবেন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, বাম পরিষদীয় দল যখন দিপালী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযোগ করেছিল, তখন ২৩টি শুনানি হয়।তাও নিষ্পত্তি হয়নি। তাই এই ব্যবস্থার উপরে আস্থা নেই।
পরিষদীয়মন্ত্রীপার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এ বিষয়ে স্পিকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের এ নিয়ে কিছু বলার নেই।
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের বিজেপির দাবির প্রেক্ষিতে ৩০ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।