Panchla police station: পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে ধুন্ধুমার হাওড়ার পাঁচলা
বরাকরের পর এবার পাঁচলা। পুলিশ হেফাজতেই মৃত্যুর অভিযোগে ধুন্ধুমার হাওড়ার পাঁচলা। থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতের আত্মীয়রা। মৃতের পরিবারের লোকজন হাওড়া-আমতা রোডে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
![Panchla police station: পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে ধুন্ধুমার হাওড়ার পাঁচলা The relatives of the deceased staged sit-in at Panchla police station. Panchla police station: পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে ধুন্ধুমার হাওড়ার পাঁচলা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/07/14/6bfb75f0e3850af295996fc45f0543e8_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সুনীল হালদার, হাওড়া: এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল পাঁচলা থানায়। থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতের আত্মীয়রা। মৃতের নাম পলাশ হাজরা। বয়স ৩৩ বছর। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, রবিবার রাতে পলাশ হাজরাকে রানিহাটি এলাকা থেকে চোর সন্দেহে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল। সেই খবর পেয়ে সোমবার সকালে পরিবারের লোকজন থানায় যোগাযোগ করে। পরিবারের অভিযোগ জগৎবল্লভপুরের সন্তোষপুর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
থানা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে কীভাবে পলাশের মৃতদেহ পাওয়া গেল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে মৃতের পরিবার। এই ঘটনার খবর জানাজানি হতেই ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। থানাতে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের লোকজন। পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে আসার পর কীভাবে থানার থেকে এতদূরে পলাশের মৃতদেহ পাওয়া গেল তা নিয়ে অভিযোগ জানানো হয় পরিবারের তরফে। এদিন বিকেলের পর থেকেই থানা ঘেরাও করা শুরু করে মৃতের পরিবার। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এছাড়াও মৃতের পরিবারের লোকজন হাওড়া-আমতা রোডে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
মৃতের পরিবারের লোকের অভিযোগ পলাশের মৃত্যু পুলিশ হেফাজতেই হয়েছে। হাওড়া জেলা গ্রামীণের পুলিশ সুপার সৌম্য রায় অবশ্য জানিয়েছেন গ্রেফতারের পর পলাশকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ হেফাজতে তার মৃত্যু হয়নি। এ ব্যাপারে সিসিটিভি ফুটেজ সহ যাবতীয় প্রমাণ আছে। গোটা ঘটনাটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
যদিও মৃতের বাবা পালটা পুলিশের দিকেই আঙুল তুলেছেন তাঁর ছেলের মৃত্যুর জন্য। তিনি বলেন, 'আমার সামনেই ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিল ওরা। ওরা বলছে যে ছেলেকে ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু ছেলে আমার আর ফিরে এল না।'
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বরাকরে এমনই ঘটনা হয়েছিল। গত ৭ জুলাই পশ্চিম বর্ধমানের বরাকরে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছিল। একজন আহত অবস্থায় ভর্তিও ছিলেন বেসরকারি হাসপাতালে। পরে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে বরাকর ফাঁড়ির আইসি অমরনাথ দাস এবং কুলটি থানার সাব ইনস্পেক্টর প্রশান্ত পালকে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)