WB Election 2021: আজ কালনা, বহরমপুরে জোড়া রাজনৈতিক সভা মমতার, কী বার্তা দেবেন?
রাজনৈতিক দিক থেকে আজ কালনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ...
আশাবুল হোসেন, পূর্ব বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদ: আজ পূর্ব বর্ধমানের কালনায় রাজনৈতিক সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বর্ধমানে মাটি উৎসবের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে যাবেন মুর্শিদাবাদে।
দুপুরে বহরমপুরেও জনসভা করবেন তিনি। রাজনৈতিক দিক থেকে আজ কালনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব বর্ধমান জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে ১৪-টিতে জয়ী হয় তৃণমূল। ২টি যায় বামেদের দখলে।
জেলার একমাত্র লোকসভা আসন বর্ধমান-পূর্বেও গত লোকসভা ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী সুনীল মণ্ডল। সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। ফলে উজ্জীবিত গেরুয়া শিবির।
এই পরিস্থিতিতে আজ কালনার জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সেটাই দেখার। এর পাশাপাশি, আগামীকাল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ও মালদাতেও জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে, সোমবার, বাজেটের জবাবি ভাষণ দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকেই বলছেন, সরকার আর কিছু দিন আছে। কিছুদিনের সরকার নয়, আবারও বিপুল ভোটে ফিরব। ২০২১-এ এমনভাবে জয়লাভ করব যে বহু দিন থাকব। শুধু বিধানসভার ভিতরেই নয়, বিধানসভার লনে ফটো সেশনের পরও একই দাবি করেন তিনি। সেখানে সকলের উদ্দেশ্যে ভিক্টরি সাইন দেখান।
যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বাম-কংগ্রেস। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মনে মনে বুঝেছেন গণতন্ত্রকে খুন করেছে, তাই ভিক্ট্রিসাইন দেখিয়েছেন...যেখানেই যাচ্ছেন সবাই বলছেন, আর তো কয়েকদিন, অভ্যাস হয়ে গেছে, তাই ভিক্ট্রিসাইন দেখাচ্ছেন। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, বলেছিলেন ৪২-এ ৪২ পাব, কী হয়েছিল তা দেখেছেন, ভিক্ট্রি দেখিয়ে লাভ হবে না।
সোমবার ছিল ১৬ তম বিধানসভার শেষ অধিবেশন। নতুন সরকার আসার পর ফের বিধানসভা বসবে। রীতি মেনে শেষ দিনে অধ্যক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়কদের সঙ্গে ফটো সেশন হয়। সেখানে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি বিধায়করা থাকলেও, ফটো সেশন বয়কট করেছিলেন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা।
আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। নাটক করতে পারব না। প্রতিবাদে ফটো সেশন বয়কট করেছি। শুধু ফটো সেশনই নয়, আর আগে মুখ্যমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতাও বয়কট করেছিল বাম-কংগ্রেস। সব মিলিয়ে বয়কটের রাজনীতির মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী উত্তাপ ছুঁয়ে গেল বিধানসভাকে।